Posts

Showing posts from September, 2023

সালাম

বাংলাদেশের মানুষ এক সময় সালাম দিতে কিংবা নিতে জানতো না। বরং জাত-বাংলার বদঅভ্যাসের মতো এই ইসলামী সম্ভাষণকেও বিকৃত করা হয়েছে। কোন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার অধীনস্ত কাউকে ডেকে পাঠাতে চাইলে পিয়ন গিয়ে বলে, "অমুক স্যার আপনাকে সালাম দিয়েছেন"। তার জবাবে কেউ বলেনা, "আমার পক্ষ থেকে ওনাকে ওয়ালাইকুম সালাম জানিয়ে দিয়েন"। সবাই এর অর্থ ধরে নিয়েছে যে তাকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। এরকম ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলা মুমিনের কাজ নয়। মুনাফিকের কাজ। বিলাতীরা এবং বিলাতের ইংরেজী এই ধরনের। কোন কথা এরা সরাসরি বলবে না। বলবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে। কিন্তু আমেরিকানরা এরকম নয়। তারা স্পষ্টবাদী। তাই বলে তারা অসভ্যও নয়। সভ্যতা বজায় রেখেই তারা কথা বলে কিন্তু কথাকে জিলাপীর মতো প্যাঁচায় না। এ কারনে আমি আমেরিকান ইংরেজীর বেশ ভক্ত। এ ধরনের আরও অন্যান্য গুণের জন্যও আমি তাদের বেশ ভক্ত। কিন্তু সে ভিন্ন কথা। শরীয়তে সালাম দেয়া সুন্নত। কিন্তু সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব। কেউ যদি আপনাকে আগ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করে, "ভাই কেমন আছেন?" আর আপনি যদি উত্তর না দিয়ে চলে যান তবে তা অভদ্রতা বলে গণ্য হয়। কিন্তু দেশে সালামের এমন বিকৃত চর্চা শুর...

বৈপরীত্যের প্রকারভেদ এবং মানবীয় বৈপরীত্য

একটা সময় দেশীয় বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে বিদেশী, প্রধানত পাশ্চাত্যিয়, চিন্তাধারার ওপর ভর করে নিজেকে কাবিল প্রমাণ করতে প্রচেষ্ট লেখকেরা কিতাব লিখতেন, "অলৌকিক নয়, লৌকিক"। ধর্মের প্রসঙ্গে, আল্লাহর প্রসঙ্গে নিজেরাই যাচিত হয়ে শুধোতেন, "আল্লাহ কি এমন একটি পাথর সৃষ্টি করতে পারেন, যা তিনি নিজে ওজন করতে পারেন না?"। কিংবা, "আমি মিথ্যে বলছি" - এটা কি সত্য কথা না মিথ্যে কথা? বলা বাহুল্য এগুলো বিদেশী চিন্তার চর্বিত চর্বন। আমার তাতে সমস্যা নাই। আমার সমস্যা কোথায় সেটা আগেও উল্লেখ করেছি। আমার সমস্যা হলো অপরের চিন্তা চুরি করে আইনস্টাইনের মতো একটা ভাব নেয়ায়। যেখানে নিজে অন্ধ-অনুকরনের দোষে দুষ্ট সেখানে প্রতিপক্ষের প্রতি গোঁড়ামীর অভিযোগ এনে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা। নাই বাঘ বনে শিয়াল রাজার মতো। একটা জাত-বাংলা জ্বালানি ছাড়া গাড়ী আবিষ্কারের দাবী করুক। আমার আপত্তি নাই। এরকম অপদার্থের মতো কথা একটা জাত-বাংলার মুখেই মানায়। কিংবা ঐ আবুলটার মতো মৌলবাদের অর্থনীতি "আবিষ্কারের" দাবী করে নিজেকে এডাম স্মিথ এর সম-পর্যায়ের কিছু ভাবা শুরু করুক। আমার তাতেও আপত্তি নাই। ডানিং-ক্রুগার ত্বত্তানুস...

অনুকরণ বনাম অনুসরণ

অনুকরণ আর অনুসরণ এক নয়। অনুকরণ বাঁদরের কাজ। কেবল আদর্শনীয় আদম সন্তানেরাই অনুসরণীয় হবার স্বীকৃতি লাভ করেন। অনুসারি ও অনুকরণকারীর পার্থক্য হলো বিচারবোধে। অনুকরণকারীর কোন বিচারবোধ নাই। সে যাই দেখে তাই করে। অনুসারিগণ বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করেন। ব্যক্তিবিশেষের খামখেয়ালীপনা বাদ দিয়ে তাঁদের মূলনীতি, বিশ্বাস, ও আদর্শের উপলব্ধির প্রচেষ্টা ও এসবের বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাঁকে ধারণ করবার চেষ্টা করেন। অনুকরণের দৃষ্টান্ত এই যে, যেহেতু ম্যাক্মিম গোর্কি "মা" - উপন্যাস লিখেছিলেন, তাই একটা জতা-বাংলা লিখবে - "ম্যাঁও"। কারন তার ধারণা এই ছাড়া উপন্যাসিক হওয়া সম্ভব নয়। আমাদের এক bum-পন্থী শিক্ষক একবার বলেছিলেন, ম্যাক্মিম গোর্কি তার "মা" - উপন্যাসে লিখেছিলেন যে তার মা ছিলেন মাদী ঘোড়ার মতো। তোমরা কখনই ম্যাক্মিম গোর্কি হতে পারবেনা কারন তোমরা কখনই এই কথা লেখার "সাহস" করবে না। ফুলার রোডের কাবিলটা যখন নিজেকে বুদ্ধিজীবি প্রমাণ করবার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় নিজের ভেতরের সব আবর্জনা উগরে দিচ্ছিলো আমি তখন ভাবছিলাম যদি বেশ্যার ঘরে জন্ম নেয়ার পরীক্ষা মহান আল্লাহ কোন মুসলমানের নিয়ে থাকেন এবং ঐ...

সুলতানা সাফিয়া এবং ডন কোর্লিওনি - চরিত্রায়ন

Image
কৈশোরে মারিও পুজোর অনবদ্য সাহিত্য কর্মের সাথে পরিচিত হবার পর স্বাভাবিকভাবেই তা আমার মনে কৌতুহল সৃষ্টি করে। The Godfather, Omerta, The Last Don এর চরিত্রগুলোর ভয়াবহ অপরাধ কর্মের বিপরীতে তাদের ব্যক্তিত্ববোধ, দার্শনিকতা, ন্যায়বোধ, দূরদর্শীতা, বাস্তববাদীতা, এবং সর্বপরি যে রাজকীয়তা ও আভিজত্যবোধ - এ দুয়ের মেলবন্ধন করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিলোনা। অনুসন্ধিৎসু হয়ে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে The Godfather Papers সম্পর্কে জানতে পারি। যেখানে মারিও পুজো তাঁর উপন্যাস সমূহের পটভূমি ব্যাখ্যা করেছেন। কি করে ইটালীর মাফিয়াদের নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ঐসব চরিত্রের ভিত্তিতে তিনি তাঁর উপন্যাসগুলো রচনা করেছিলেন সেই গল্প। তবে তিনি চরিত্রগুলোকে নিয়ে এক ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন এরকম অপরাধীরা যদি রাজসিক গুনাবলী অর্জন করতো তাহলে কি হতে পারতো। একটা দুর্ধর্ষ অপরাধীর অপরাধে পারঙ্গমতার সাথে একজন রাজার ধীশক্তি-নৈতিকতা যুক্ত হলে কি হতে পারে তা তিনি দেখতে চেয়েছিলেন। অর্থাৎ যাদের ওপর ভিত্তি করে এইসব বিখ্যাত উপন্যাস রচনা করা হয়েছে বাস্তব জীবনে সেই সব চরিত্রসমূহ স্রেফ চোর-ডাকাত-গুন্ডা বই কিছু ছিলোনা...

জাত বাংলা এবং কুত্তার জাত

যখন ছোট ছিলাম একটা কথা প্রায়ই শুনতাম যে, কুকুর যে রাস্তা দিয়ে যায় ঐ রাস্তা চল্লিশ দিন পর্যন্ত নাপাক থাকে। এরপর থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত মহান আল্লাহ তাআলা স্বল্প-বিস্তর দ্বীনি এলেম তালাশ করবার সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু এ জাতীয় কথা বা ধ্যান ধারনা ইসলামী কোন সাহিত্য-সভ্যতায় খুঁজে পাইনি। বরঞ্চ এ কথা জানা যায় যে মিশরে কায়রোতে এক সময় লক্ষাধিক কুকুর ছিলো। যেগুলো অধিকাংশ স্থানীয়দের দ্বারা প্রশিক্ষিত ছিলো। তাদের কাজ ছিলো স্থানীয় এলাকা পাহারা দেয়া। অনাহুত আগুন্তক সম্পর্কে মহল্লাবাসীকে সজাগ করা। এলাকার ময়লা খেয়ে পরিষ্কার করা। কিন্তু "মহামতি" নেপোলিয়ানের সৈন্যবাহিনী মিশর দখলের পর অনাহুত আগুন্তক হিসেবে কুকুরদের আক্রমণের শিকার হতো হর হামেশা। এজন্য তার সময়ে মিশরে আলিমদের সাথে সাথে ব্যাপক হারে কুকুর হত্যা করা হতো। হাল আমলে কুকুর প্রেমী হয়ে ওঠা পাশ্চাত্যিয়রা এ ব্যাপারটা চেপে গিয়েছে। সে যাই হোক, আমি লক্ষ্য করেছি জাত বাংলার অজাত স্বভাবের একটা হলো আচরণগত অস্বাভাবিকত্ব। এক দিকে এমন লোক ঢের যে কুকুরকে খামোখা ঢিল ছুঁড়ে ত্যক্ত করছে, কেউ কেউ কুকুরের গায়ে গরম পানি পর্যন্ত ঢেলে দিয়ে তার চামড়া ঝলসে দিচ্ছে, পাড়া...

বকধার্মিকের ধর্মচর্চা

বাংলাদেশের এক কুখ্যাত কমুনিস্ট বলেছে যে সে ঈমান এবং আমলের সহিত মরতে চায়। এই নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের বিশ্লেষণ করবেন, এমনকি ঠাট্টা-তামাশাও করতে পারেন। তবে শুধু শিরোনাম দেখেই আমার মনে তাৎক্ষনিক যে বোধদয় হলো তা এই যে, দেশের ধর্মহীন-ইসলাম বিরুদ্ধ অংশটি যে সবচেয়ে বড়ো ধর্ম ব্যবসায়ী এটা আবারও প্রমান হলো। আরও এই যে ইসলামের বিকৃত চর্চার যে ব্যাপকতা তাও বোঝা গেলো। সারা জীবন  নিরীহ মুসলমানদের অধিকার হরণ করে, অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করে, ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন না করে শেষ জীবনে এসে "তোবা তোবা" করা, অবৈধ অর্থে হজ্ব সম্পন্ন করা, জবর দখলকৃত জমিতে মসজিদ নির্মাণ করা, সেই মসজিদের কমিটি গঠন করে তার সভাপোঁদ-ছেরমেন-পোরসিডেন্ট ইত্যাদি বনে যাওয়া, ইমাম-মুয়াজ্জিন-খাদিমদের অন্যায় ভাবে প্রভাবিত করা, তাদের ওপর অনধিকার চর্চা করা, সাধারণ মুসল্লীদের দানকৃত টাকার ওপর বা যৌথ সম্পত্তির ওপর নিজের একক কর্তৃত্ব ফলানো - এতোসব করেও অনেকেই নিজেকে বেকসুর মনে করেন; এমনকি ইসলামের বিরাট খাদিম, বিরাট মুসলমান, মুজাহিদ, ধর্মবেত্তা ইত্যাদিও বনে যান। যারা এরুপ বিকৃত ইসলামে বিশ্বাসী তারা জেনে রাখুক মহান আল্লাহ পবিত্র। এ...

কাফেরদের কূটকৌশলের বিপরীতে মুসলিম নেতৃত্বের বিচক্ষণতা

দেশের জনগণের ভোটের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া, তাদের অর্থ পাচার করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে বলে নিপীড়িত জনসাধারণ বেশ খুশী। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একথা কেনো কেউ বলছে না যে এই দেশের যে অর্থ অবৈধভাবে পাচার করা হয়েছে তা এদেশের মানুষের নিকট ফেরত দেয়া হবে কিনা? নাকি, পূর্বে যেমন ঈঙ্গিত দিয়েছিলাম, ইরানের শাহের মতো ৪০ বিলিয়ন ডলার পাচার করে যুক্তরাষ্ট্র্যে নিয়ে যাবার সুযোগ দিয়ে আবার সেই অর্থকে দীর্ঘদিন বাজেয়াপ্ত করে মার্কিন মুলুকে রেখে দেয়ার মতো একই কাজ করা হবে? মুসলমান বিশ্বে স্বৈরাচারীদের টিকে থাকতে সহায়তা করে, স্বজাতীদের শোষনে সহায়তা করে, আবার তাদের বিরুদ্ধেই স্বেচ্ছাচারীতা-দুর্নীতির অভিযোগ করা কি পুরনো মার্কিন কৌশল নয়? নিরীহ জনগণকে খুনী স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে উস্কে দিয়ে পেছন থেকে সটকে পড়া বা war of attrition এর মাধ্যমে মার্কিন বিরোধী বহু পক্ষকে পরস্পরের বিরুদ্ধে জড়িয়ে ফেলার এই কৌশল কি আমরা সিরিয়ায় দেখেনি? এখন বার্মাকে কেন্দ্র করে সে-ই একই কৌশল যে তারা নিচ্ছেনা এই গ্যারান্টি কে দিলো? পাঠক যদি মদন মিডিয়ার ভক্ত পাঠক-দর্শক না হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চই ধরতে পেরেছেন যে রাশিয়া এবং ...

আমার তিন শিক্ষক

আমাদের ইসলামিয়াতের শিক্ষক আব্দুল কাবীর স্যার। শর্ষীনার পীর সাহেবের মুরিদ ছিলেন। আলাভোলা লোক। মাঝে মাঝে রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। আমাদের সাথে দেখা হয়ে গেলে বলতেন, মহান আল্লাহর সৃষ্টি। কি আশ্চর্য না! তো উনি একদিন আমাদের বললেন, আমাকে কবির ডাকবে না। আমার নাম আব্দুল কাবীর। অর্থাৎ আল-কাবীরের দাস। আমি তো দাস মাত্র। তোমরা আবার মন খারাপ কোরোনা যে তোমাদের শিক্ষক একজন দাস। আমিতো আল্লাহর দাস। উনি আমার মনে সুদ সম্পর্কে সর্বপ্রথম সচেতনতা তৈরী করেছিলেন। তখন অনেকেই ব্যাংকের ইন্টারেস্ট-কে সুদ মনে করতেন না। তবে উনি কখনই এ বিষয়ে আমাদেরকে লম্বা-চওড়া খুৎবা দেননি। শুধু এতোটুকু জানাই যথেষ্ঠ ছিলো যে সুদী ব্যাংকের হজ্জ স্কীমে ওনার কোন জমা ছিলোনা। আমাদের বাংলা ও ইংরেজীর দুই শিক্ষক ছিলেন আঁতেল শিরোমণি। তবে নিরীহ প্রকৃতির আঁতেল। বাংলার শিক্ষক প্রতিদিন ৮টি সংবাদপত্র পড়তেন বলে শুনতাম। দেশী শাম্বাদিকদের নিয়মিত পাঠক ও মিডিয়ার নিয়মিত দর্শক হলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতে পরিণত হওয়া অবশ্যম্ভাবী। বাংলার শিক্ষক বিশালাকার অক্সফোর্ড ডিকশনারী নিয়ে ঘোরাঘুরি করতেন। সবসময় ইংরেজীর মাহাত্য বর্ণনা করতেন। মাত্র ছাব্বিশটা বর্ণ ...

হেফাজতে ইসলামের সালতামামি

হেফাজতে ইসলাম "ফিরে আসার" ঘোষণা দিয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। কি কারনে তারা "ফিরে আসতে" চাচ্ছে তা জানি না। জানবার আগ্রহও নাই। এর আগে এরা ইসলামের "হেফাজতের" জন্য আবির্ভূত হয়েছিলো। কিন্তু তাদের কর্মকান্ডের ফল শেষমেষ তাগুতের পক্ষে গিয়েছে, ইসলামের পক্ষে নয়। হেফজাতে ইসলাম দেওবন্দী ধারার কওমী গোষ্ঠী। প্রখ্যাত ওলামা-মাশায়েখ যেমন গাঙ্গুহী রহ: ও নানূতবী রহ: এঁদের হাত ধরে দেওবন্দী ধারার বুৎপত্তি। এ সকল দূরদর্শী ওলামাগণ যথার্থ-ই উপলব্ধি করেছিলেন যে বিলাতী কাফেরদের অধীনে ইসলামী শিক্ষার প্রসার দূরে থাক, টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাগুতি-কুফরী শক্তি ততোটুকু ইসলাম-ই শিক্ষা দেবে বা দেবার অনুবোদন দেবে যা তাদের পক্ষে না গেলেও অন্তত যেন তাদের বিপক্ষে না যায়। উপনিবেশ উত্তর পরিবেশ এখন ভিন্ন। কিন্তু দেওবন্দীদের অন্ধ অনুকরণ থেমে নেই। হেফাজত ও কওমীদের কর্মকান্ড তার প্রমাণ। জোট সরকার আমলেতো বটেই এর পূর্বেও কওমী ধারাকে একটা রাষ্ট্রীয় ভিত্তি দেবার জন্য জামাতে ইসলামীর নেতারা প্রাণপন চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কওমীদের পক্ষ থেকে বরাবরই জামাতের "আকীদা" গত সমস্যা ও দেওবন্দের সরকারী ...

জ্ঞানের প্রসার বনাম আঁতলামির প্রসার

এদেশে বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে সবচাইতে বড়ো দুর্ঘটনা হলো পুস্তক সর্বস্ব জ্ঞানের প্রসার। যা বেগবান হয়েছে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কার্যক্রমে। এ জাতীয় বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনের ইতিহাস এদেশে পুরনো। যেমন গত শতকের ষাটের দশকে খুব সম্ভবত ড. কাজী মোতাহার হােসেনের উদ্যোগে মুক্তির বুদ্ধি নামীয় একটি আন্দোলন শুরু হয়েছিলো। কাজী মোতাহার হোসেন ও তাঁর সাম্প্রতিক পূর্বের বা সমসাময়িক জ্ঞানী গুনী ব্যক্তিবর্গ যেমন প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ, মাওলানা আকরাম খাঁ, দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সহ আরও অসংখ্য পন্ডিতদের কর্মের সাথে আবদুল্লাহ আবু সাইদ ও তাঁর সমসাময়িক ব্যক্তিবর্গের যাঁরা বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত বলে পরিচিতি পেয়েছেন তাদের একটা বড়ো পার্থক্য, আন্তত আমার মতে, এই যে পূর্বের পন্ডিতেরা বৈদেশীয় ধ্যান-ধারণা আত্মস্থ করতে সমর্থ্য ছিলেন। পরবর্তীরা শুধু অক্ষম ছিলেন তাই নয়, তারা অধিকাংশ সময় বিষয়বস্তুর ভুল পাঠ করেছেন। আমার মতে এটা হতে পেরেছে কিতাব সর্বস্ব এবং অনুবাদ নির্ভর বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার কারনে। বৈদেশিক ধ্যান-ধারণা দ্বারা পূর্বের পন্ডিতেরাও প্রভাবিত ছিলেন। বুদ্ধিব...

Muslim Unity: An analysis of its recent past and its probable future

Image
Muslims are overwhelmingly concerned about the disunity among themselves. This has been a perplexing phenomenon as to why there has been no such "Unity" reached when everyone seems to be in favor of one. Perhaps this comes from our lack of understanding of the concepts and terminologies that we use. What do we mean by "Unity"? What are the characteristics of a "United" Ummah? So that we know we are "United" when it exhibits such. The venerable scholar Dr. Umar Farooq abd-Allah aptly said, "Unity" is not "Uniformity". So according to that paradigm people can still be "United" in their "Diversity". But then one wonders where do they "Unite" and where do they "Diverge"? Evidentially Muslims are united in their testimony, The Shahāda. But they diverge in its implications. The problem does not end there though. In case there is an agreement of the implications, there is a contest among its im...

মগ ও বদনার যুদ্ধ

দেশে মগের ব্যবহার বেড়ে চলেছে। এর বিপরীতে বদনার ব্যবহার কমছে। অথচ বদনা দিয়ে যতো অনায়াসে সুনির্দিষ্ট স্থানে পানি ঢালা যায় মগ দিয়ে তা যায় না। তাতে কিছু যায় আসে না। এখন দেশ "স্বাধীন" হয়েছে। বর্গীর দেশের লোকেরা এখন কখনও আমাদের বন্ধু, কখনও স্বামী দেশ হিসেবে বিবেচিত। "স্বাধীন" হবার পূর্বে বর্গীদের সাথে জান বাজী রেখে বাংলার মানুষ লড়াই করতো। কারন একেতো দেশের মানুষ সব ঘাউড়া যবন। এক আল্লাহ ছাড়া কারও বন্দেগীতে তার চরম অস্বীকৃতি। তদুপরি বর্গী কর্তৃক লুন্ঠনের বিষয়তো আছেই। তাই "স্বাধীন" হবার পরেও দেশের অবস্থা দেখে বাংলার গীতিকারেরা যখন বিস্ময়ভরে লিখেছিলেন, বর্গীরা আর দেয় না হানা, নেইকো জমিদার। তবু কেনো এদেশ জুড়ে নিত্য হাহাকার? তখন আমরাও তার বিস্ময়ে শামিল হই, বেদনা উপলব্ধি করি। তাই বলে হাহাকার থেমে নেই। এখন চলছে ডিমের হাহাকার। ডিমের হাহাকার ঠেকাতে বর্গীর দেশ থেকে ডিম আনা হবে। তাতে বরং হাহাকার আরও বেড়ে গিয়েছে। বর্গীর ডিমের হানায় দেশীয় ডিম অক্কা পাবে এ চিন্তায় হাহাকার। যদিও অক্কা পাওয়া এখন একটা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। সয়ে গেছে। শুধু সংখ্যাটা উল্লেখ করলেই সহ্য করা কঠিন হয়ে যায়...

Secular Bangladesh: An unholy burden

Image
Micro, the French President, will be here in Bangladesh. The clown of an intellectual who defended the right to defame the Beloved ﷺ will be here in Bangladesh. The man-child with a little brain and a big ego that cannot conduct well with an adolescent of his own country will be here in Bangladesh. The man with auntie-fragile complexity, who acts tough on the weak and cower like an oppressed mid-wife before the likes of Putin will be here in Bangladesh. The colonial demagogue who shamelessly advocates for continuous exploitation of Africa will be here in Bangladesh. The rascal statesman who has put his country on fire will be here in Bangladesh. The neo-Nazi that has made France a concentration camp for its Muslim populace will be here in Bangladesh. Bangladesh that was once a Muslim majority country. The only country to apprehend Abdur Rahman and his prime abettor Bangla bhai alive. The daemons under whose guidance the so called JMB created mayhem throughout the country was trialed in...

কথা

দুর্মুখ বাঙ্গালীর সবচেয়ে অপ্রিয় বিষয় কথা। মুখরা বাঙ্গালীর সবচেয়ে অপ্রিয় বিষয় কথা। কথায় বলে, কথায় চিড়া ভিজে না। বুভুক্ষ বাঙ্গালীর ভিজা চিড়া চাই। কারন ভিজা চিড়া ভক্ষণ করা যায় তাৎক্ষনিক। শুধু খাবেন। বাঙ্গালী শুধু খেতে চায়। আর বলতে চায়। করতে চায় না। শুনতে চায় না। অথচ খেতে চাইলে, করতে হয়। বলতে চাইলে, শুনতে হয়। একজন ভালো কথক, একজন ভালো শ্রোতা। ‌তবে নিরব শ্রোতা মানেই ভালো শ্রোতা নয়। কারন ঘুমন্ত মানুষ-ও নিরব শ্রোতা। একজন ভালো শ্রোতা, একজন মনযোগী শ্রোতা। দুইজন ভালো শ্রোতায় একটা ভালো আলোচনা হয়। দুইজন মন্দ শ্রোতায় বাগ-বিতন্ডা হয়। বাংলাদেশের তথাকথিত এক কথা সাহিত্যিক তাঁর নাটকের একটা চরিত্রকে দিয়ে বলিয়েছিলেন: থামলে ভালো লাগে। কিন্তু উনি নিজে থামতে পারেন নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। উনি বলে চলেছিলেন জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত এবং এই বলাটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে উকৃষ্ট বলা নয়। কারন এই বলায় তাঁর মূর্খতা প্রকাশ পেয়েছে। এই বলায় তাঁর সস্তা, অগভীর, ও অসংলগ্ন চিন্তার বহি:প্রকাশ ঘটেছে। এ কারনেই তাঁকে বলা হয়েছিলো তাঁর রচিত কথা সাহিত্য, কথারই সাহিত্য। সত্য বটে। তবে যিনি এই কথা বলেছেন, তিনি নিজে কুম্ভিলক। চিন্তা চোর। অন্যদের প...

Iqbal, Sayedee and Iggy Azalea

Image
I have never seen any orator other than Allāma Delawar Hossain Sayedee who could instantly produce rhyming couplets, maxims, and fables from Bengali, Urdu, Arabic and Persian literature and magically blend them during speech to left the audience spellbound. From his speeches its apparent that Allāma Iqbal was one his major inspirations. Growing up we knew about Nusrat Fateh Ali Khan but never heard of Sabri Brothers. Even for Nusrat Fateh Ali Khan, I only knew him as a vocalist for Bollywood (God have mercy on my soul)! [As a side note, if the intellectual property warlords of USA is really serious about their work they should pay more attention to Bollywood than China. We knew pretty well how 5 Hollywood cut-pieces make a Bollywood movie. It could not come up with even a name for its industry without resorting to piracy i.e., thiswood, thatwood. But I had no idea about how shamelessly Bollywood has stolen the much enriched Pakistani Qawwali music tradition. Take any blockbuster Bollyw...