সুলতানা সাফিয়া এবং ডন কোর্লিওনি - চরিত্রায়ন

কৈশোরে মারিও পুজোর অনবদ্য সাহিত্য কর্মের সাথে পরিচিত হবার পর স্বাভাবিকভাবেই তা আমার মনে কৌতুহল সৃষ্টি করে। The Godfather, Omerta, The Last Don এর চরিত্রগুলোর ভয়াবহ অপরাধ কর্মের বিপরীতে তাদের ব্যক্তিত্ববোধ, দার্শনিকতা, ন্যায়বোধ, দূরদর্শীতা, বাস্তববাদীতা, এবং সর্বপরি যে রাজকীয়তা ও আভিজত্যবোধ - এ দুয়ের মেলবন্ধন করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিলোনা।

অনুসন্ধিৎসু হয়ে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে The Godfather Papers সম্পর্কে জানতে পারি। যেখানে মারিও পুজো তাঁর উপন্যাস সমূহের পটভূমি ব্যাখ্যা করেছেন। কি করে ইটালীর মাফিয়াদের নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ঐসব চরিত্রের ভিত্তিতে তিনি তাঁর উপন্যাসগুলো রচনা করেছিলেন সেই গল্প। তবে তিনি চরিত্রগুলোকে নিয়ে এক ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন এরকম অপরাধীরা যদি রাজসিক গুনাবলী অর্জন করতো তাহলে কি হতে পারতো। একটা দুর্ধর্ষ অপরাধীর অপরাধে পারঙ্গমতার সাথে একজন রাজার ধীশক্তি-নৈতিকতা যুক্ত হলে কি হতে পারে তা তিনি দেখতে চেয়েছিলেন।

অর্থাৎ যাদের ওপর ভিত্তি করে এইসব বিখ্যাত উপন্যাস রচনা করা হয়েছে বাস্তব জীবনে সেই সব চরিত্রসমূহ স্রেফ চোর-ডাকাত-গুন্ডা বই কিছু ছিলোনা। অথচ মুসলিম জাহানেও এই সকল উপন্যাসের ভিত্তিতে নির্মিত সিনেমা The Godfather ব্যাপকভাবে শুধু সমাদৃত-ই নয় বরং মুসলিমদের অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গী ও জীবন দর্শন কেও প্রভাবিত করেছে। অন্তত ইরাকে নিযুক্ত বিলাতী রাষ্ট্র্যদুতের সাক্ষ্যে তা-ই প্রমাণিত হয়। যেখানে তিনি বলছেন যে সাদ্দাম হোসেন তাঁর কাছে ঐ সিনেমার ব্যাপারে নিজের ভক্তি প্রকাশ করেছিলেন। আমাদের দেশেও কিছু লোকের কথায়-আচরনে মনে হয় এরা এই সিনেমা দেখে নিজেদের Godfather হিসেবে গড়ে তুলতে আগ্রহী।

ক্ষমতার মোহ এবং শাসনকর্ম এতোটাই জটিল-দু:সাধ্য একটি কাজ যে শাসনপ্রক্রিয়ার গেড়াকলে একবার পড়ে গেলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। বড়ো বড়ো মানুষেরাও, বুদ্ধিমান মানুষেরাও খেই হারিয়ে ফেলেন। উসমানীয় সালতানের ইতিহাসের যে পর্যায়টিকে "সুলতানাদের শাসনামল" বলে অভিহীত করা হয় সেই সময়ের ঘটনাপ্রবাহকে ভিত্তি করে নির্মিত "কোসেম সুলতানা"-সিরিজের মূল নারী চরিত্রগুলো সেই বাস্তবতাকেই ফুটিয়ে তুলেছে।

এর পূর্বের "সুলতান সোলেমান" সিরিজে হালিত এরগেঞ্জ সুলতানের যে অনবদ্য চরিত্রায়ন ফুটিয়ে তুলেছিলেন, হুলিয়া আভশার "কোসেম সুলতান" - এ সাফিয়া সুলতানার চরিত্রায়নে তা-ই করতে সক্ষম হয়েছেন।

সাফিয়া সুলতানার রাজসিক, বিলাসী জীবন যাপনের সাবলীল চিত্রায়ন, প্রতিপক্ষের প্রতি তাঁর তাচ্ছিল্যের দৃষ্টি নিক্ষেপ - দর্শককে এমনি বিমোহিত করে যে নৈতিকতার মানদন্ডে এমন জীবন যাপনের, এমন আচরণের বৈধতার প্রশ্ন ক্ষণিকের জন্য হলেও বিস্মৃত হতে হয়। হুলিয়া আভশার অন্যান্য জাঁদরেল সুলতানাদের প্রসঙ্গে যেভাবে "ও কিম?" (কে সে?) বলেন তাতে সাফিয়া সুলতানার দাম্ভিকতার প্রকাশের পরিবর্তে নিজের প্রতি সীমাহীন আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠে।

সাফিয়া সুলতানার মতো এমন জাত্যাভিমানী, কূটকৌশলীর কন্যা হওয়া স্বত্তেও যুলফিকারের মতো একজন সাদামাটা সৈনিকের প্রতি হুমাশার আসক্ত হওয়াটাও বেশ ভাবোদ্দীপক। এটা জাত-বাংলার সিনেমার মতো ধনী-গরিবের সস্তা প্রেম কাহিনী নয়। তা সস্তা নয় একারনেই যে এখানে বাংলা সিনেমার মতো কোন ফকিন্নীর অসহায়ত্ব, একজনের প্রতি আরেকজনের করুণাবোধের কারনে নায়ক-নায়িকা যুগলবন্দী হয়নি। করুণা আর ভালোবাসার মধ্যে ভেদজ্ঞান একটা জাত-বাংলা করতে পারে?

প্রাসাদ ষঢ়যন্ত্র ও অবিশ্বাসের বিষাক্ত পরিবেশে বড়ো হয়ে যুলফিকারের মতো সাহসী, বিশ্বস্ত, মারপ্যাঁচহীন পুরুষের প্রতি হুমাশার ভক্তি জাগ্রত হওয়াই স্বাভাবিক। অর্থাৎ হুমাশার অপার্থিব এমন সব চাহিদা ছিলো যা দুনিয়ার কোন রাজপ্রাসাদে পাওয়া দুষ্কর। সাহসিকতা, বিশ্বস্ততা, মেধা, ও সরলতা এসব এমন গুণাবলী যার সমাবেশ সচরাচর ঘটে না। যা যুলফিকারের মধ্যে ঘটেছে।

সুলতানা সাফিয়ার স্বার্থ সিদ্ধিতে সেই যুলফিকারকে বিপদজনক মনে করায় উনি যেভাবে অনায়াসে তাকে সরিয়ে দেবার পরিকল্পনা করলেন এবং সরাসরি না বলা হলেও হুমাশা তৎক্ষনাৎ তার অর্থ যেভাবে বুঝে গেলো তাতে এটাই প্রমাণিত হলো যে রাজ‌কার্যের এক ভিন্ন ভাষা আছে। সেটা আবেগের স্যাঁতস্যাঁতে আ-মরি বাংলা ভাষা নয়। একটা সাধারন পরিবারে বেড়ে ওঠা আর একটি রাজ পরিবারে বেড়ে ওঠা যে কখনোই এক নয় এটা তারও প্রমাণ।

তাহলে প্রশ্ন ওঠে "বংশে নয়, কর্মে পরিচয়" বলতে আমরা ঠিক কি বুঝি? যেখানে বংশগত পটভূমি, কর্মগত সাফল্যের ভিত তৈরী করে - সেখানে বংশীয় পরিচয়-ই কি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না? সেক্ষেত্রে কর্ম দিয়ে কি বংশের গুন অতিক্রম করা যায়? যায় না। যায় না বলেই আমরা দেখি রাজবংশ কেবল এক ব্যক্তির কর্মের ফসল হয় না। তা প্রতিষ্ঠিত হয় বংশানুক্রমিক সাফল্য ও উৎকর্ষের ধারায়।

এই ফকিন্নীর দেশে সরকারী চাকুরীর সূত্রে কিংবা হারাম ব্যবসার সূ্ত্রে যেসব হীনজাতরা রাতারাতি নবাব হয়ে উঠেছে তাদের ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া, বিদেশ পাচার করা, ধর্মহীন-বিজাতীয় শিক্ষা-সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা আবাল সন্তানগুলোই তাদের দারিদ্রের সবচেয়ে বড়ো প্রমান। পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার এই পর খউয়া নবাবী-ই তার দারিদ্রের প্রমান।

একারনেই আমরা বলেছিলাম বাঁদীর গলায় মুক্তোর মালা পরালেই সে মালকিন হয়ে যায় না। একটা বান্দীর বাচ্চা শিল্পপতি, অধ্যাপক, আমলা, সেনাপতি, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী ইত্যাদি হয়ে উঠলেই তার মধ্যে রাতারাতি উন্নত, উচ্চবংশীয়, রাজকীয় গুণাবলির উন্মেষ ঘটে না। সে যতোই ভাব নিতে চাক, দারিদ্রের যাঁতাকলে পিষ্ঠ হয়ে বংশানুক্রমে তার মনের গহীনে যে অনিশ্চয়তাবোধ, অনিরাপত্তাবোধ, ভঙ্গুরতা, ও অক্ষমতার বীজ গেঁড়ে বসেছে তা সময়ে সময়ে ভক করে বেরিয়ে আসে। এজন্য দামী পোশাক-আশাক, গৃহসজ্জা, গাড়ী-ঘোড়া দিয়ে যতোই সে তার আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতে চাক তার ভিত্তিটা অত্যন্ত দুর্বল। একটুতেই খসে পড়ে। বিলাতী স্যুট-টাইয়ের আড়ালে তার জাত-বাংলাটা ক্ষণে ক্ষণে ভেটকি দিয়ে বসে।

অন্যত্র সুলতানা সাফিয়া যেভাবে তাঁর অধীনস্তদের জুলফিকারকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে সময়ের পরিক্রমায় তাঁর মেয়ে স্বামী হারানোর বেদনা ভুলে যাবে - এই মানসিকতা ব্যাখ্যার দাবীদার। প্রথমত ওনার মেয়ের সুস্পষ্ট বিরোধিতা স্বত্তেও উনি মেয়ের প্রতি নিজের মূল্যায়নকে সঠিক মনে করছেন। দ্বীতিয়ত নিজের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে জুলফিকারের মতো মানুষদের তিনি expendable বা কুরবানীর যোগ্য মনে করেন।

আমার মতে এখানেই সুলতানা সাফিয়া আর সুলতান সুলেইমানের পার্থক্য। এজন্যই সাফিয়া বহু রাজসিক গুণাবলীর-ধীমত্তার অধিকারী হওয়া স্বত্তেও সুলেমানের পর্যায়ে পৌছতে পারেননি। সুলতান সুলেইমানের যুদ্ধেও তাঁর বহু সঙ্গী-সাথী-সৈন্য নিহত হয়েছিলো। মোহাকের যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধের ব্যাপারে তাঁর যে অনীহা, যুদ্ধে নিহত নিজ সৈন্যদের প্রতি তাঁর যে আকুলতা, বৈবাহিক প্রশ্নে তাঁর ভগ্নি খাদিজা ও কন্যা মিহিরমার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন - এ সবই সোলেমানকে "মুহিব্বি" হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। তাঁকে "মহান" বা Magnificent বলে প্রতিষ্ঠা করেছে। অর্থাৎ বাস্তবতাকে তিনি এড়িয়ে না গেলেও, তার নিষ্ঠুর উপস্থিতি সম্পর্কে তাঁর ধারণা স্পষ্ট।

তবে আমাকে যে দৃশ্যটি সবচাইতে আলোড়িত করেছে তাহলো ইস্কান্দার এর সাথে সুলতানা সাফিয়ার পুত্র সন্তান ও মাতা হিসেবে সাক্ষাতের দৃশ্যটি। হুলিয়া আভশার যে অত্যন্ত উঁচু দরের একজন অভিনেত্রী তিনি এই দৃশ্যে তা প্রমান করেছেন দ্ব্যর্থহীনভাবে। ইস্কান্দার এর অভিনয়-ও অনবদ্য।

আমার মাঝে মাঝে মনে হয় তুর্কি পরিচালকেরা সূক্ষভাবে হলিউডের নির্মাণকৌশল অনুসরণ করেন। তবে তা অত্যন্ত উঁচু মাপের অনুসরণ। বলিউডের মতো অনুকরণের বাঁদরামী নয়। খুব সম্ভবত অনুসরণ না বলে প্রভাব বলা অধিক উপযুক্ত। কারন এটা এতোটাই প্রচ্ছন্ন যে তা ধরা প্রায়শই অসম্ভব। ধরা হলেও তার সত্যতা প্রতিষ্ঠা করা দু:সাধ্য।

আমি সুঙ্গুরতেকিন বে এর মধ্যে Assassins Creed এর প্রভাব দেখতে পেয়েছি:

কুরুলুস ওসমানের খলনায়ক তোগাই এর কন্ঠে:

ব্যাটমানের খলনায়ক Bane এর স্বরের প্রতিচ্ছায়া পেয়েছি:

এবং ইস্কান্দারের মধ্যে Jason Bourne - কে খুঁজে পেয়েছি। তবে এটাও সত্য ইস্কান্দার যেভাবে নিজের আত্মবিস্মৃতিকে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন ম্যাট জেসন ততোটা পারেন নি। যদিও আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় দুজনকে প্রায় কাছাকাছি মানের অভিনেতা মনে হয়েছে। ইস্কান্দার যেভাবে শূন্য দৃষ্টিতে মনের গহীনে হারিয়ে গিয়ে অতীত তালাশ করার প্রচেষ্টা ফুটিয়ে তুলেছেন তা অভিনয়ে তাঁর উচ্চ দখলের পরিচায়ক।

সাফিয়া সুলতানার শেষ পরিণতির দৃশ্যায়ন চরিত্রের ভাবমর্যাদা রক্ষা করেছে:

তিনি যেভাবে শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত তাঁর সমস্ত অপকর্মের পক্ষে গীত গাইলেন তা তাঁর প্রতি অশ্রদ্ধা তৈরীর পরিবর্তে নিষ্ঠুর বাস্তবতার ঈঙ্গিত বহন করে। আমাদেরকে এই ভাবতে প্রলুব্ধ করে যে তাঁর যায়গায়, তাঁর পরিস্থিতে আমরা থাকলে আমরা কি ভিন্ন কিছু করতাম কিনা?

এই যে নিষ্ঠুর বাস্তবতার সফল চিত্রায়ন এখানেই চিত্র নির্মাতাদের সবচেয়ে বড়ো সফলতা। কারন এই সব সিনেমা মানুষকে গভীরভাবে ভাবতে শেখায়। সবকিছু ধনীর ছেলে গরীবের মেয়ের সস্তাপ্রেম, কিংবা দুনিয়ার সব সমস্যাকে মারপিট করে, ডাইরেক্ট একশন করে, উত্তেজনা, হৈ-হুল্লোড়, চাপাবাজি, ঘিরিঙ্গীবাজি দিয়ে সমাধান করার যে জাত-বাংলা পদ্ধতি তার অসারতা স্পষ্ট করে। বিলাতী হবার চেষ্টায় যে সদ্য লাট-টি কাঁটা চামচ দিয়ে লাঞ্চ শেষ করে আবার ঐ কাঁটা চামচ দিয়েই দাঁত খুচিয়ে নিজেকে লাঞ্ছিত করেন সেই আত্ম-সচেতনতা যদি জাত-বাংলার থাকতো তাহলেতো এরাই এইসব উচ্চ মাপের সিনেমা বানাতে সক্ষম হতো। এক জাত বাংলা শিল্পের নামে বড়ো জোর ফার্ট (Fart) ফিল্ম তৈরী করতে পারে। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত একথা একটা জাত বাংলা-ই বলতে পারে যার নিজের দৌড় মূর্খতা পর্যন্ত।

আমি সাধারণত নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে খোঁজ খবর করিনা। তবে কারও অভিনয়ে মুগ্ধ হলে মাঝে সাঝে খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করি। কোন কুক্ষণে হুলিয়া আভশারের খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম! তাঁর অভিনয়ে তাঁর প্রতি যে শ্রদ্ধাবোধ তৈরী হয়েছিলো তাঁর এক বিভৎস নৃত্য তার সবটুকু উবিয়ে দিলো।

এটাও একটা ব্যাপার। গাজওয়ায়ী, বালাদী, শারকী এগুলো আরবী নৃত্বের ঢং। কামাল পাশা উত্তর সেকুলার তুর্কীদের ইসলামের প্রতি যে ক্ষোভ, আরবদের প্রতি যে হীনমন্যতা, তা কেবল ধর্মের সীমায় আবদ্ধ। আমি দেখেছি মুসলিম দেশের যে সেকুলারেরা আরবের ইসলাম ধর্মের ব্যাপারে শুচিবায়ুগ্রস্ত তারাই আরবের মূ্র্তিপূজারী সাহিত্য, সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠানের বেশ বড়ো ভক্ত। আমার কাছে এটা এই বার্তাই দেয় যে উম্মতে মোহাম্মদী যেমন পবিত্র ইসলাম ধর্মের বন্ধনে আবদ্ধ, এর বিপরীতে উম্মতে ইবলিশ-ও নাপাকি-বদমায়েশির বন্ধনে আবদ্ধ। দুনিয়ার সমস্ত কেচ্ছা-কাহিনী-ইতিহাস এই দুয়ের ডায়ালেক্টিক বা দ্বন্দের ফসল।

পাঠক হুলিয়া আভশারের বিভৎস নৃত্যের সন্ধানে ব্যাপৃত না হয়ে, তাঁর অভিনয় গুনে মুগ্ধ হতে এবং তাতেই তৃপ্ত থাকতে শিখুন। পারলে সেই গুণে গুণান্বিত হতে চেষ্টা করুন। এতেই কল্যাণ।

Popular posts from this blog

আসেন, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গ্যাজাই

ইসলাম ও গণতন্ত্র

জামাতের ভোট: একবারে না পারিলে দাও শতবার