মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের বোঝাপড়ার সূত্রে কিছু বিভ্রান্তির অপনোদন

একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা অনেকে উপলব্ধি করেন না তাহলো ইরান যদি কখনো ঈসরায়েলকে ধরাশয়ী করতে সক্ষম হয়ও তথাপি সিরিয়া ও গাজা যুদ্ধের নৈতিক দায়ভার সে এড়াতে পারবে না। আমি যতোটুকু জানতে পেরেছি সিরিয়ান বিদ্রোহীরা প্রায় তিন লক্ষাধিক নিহতের তালিকা তৈরীর পর নিহতের তালিকা হাল নাগাদ করা ছেড়ে দেয়। তবে নিহতের সংখ্যা "নূন্যতম" ছয় লক্ষ বলে ধারনা করা হয়। এই বিশাল হত্যাযজ্ঞের আগুনে ইরান ঘি ঢেলেছে। বরং যখন সে নিজে যুক্ত হয়েও বাশার সরকারকে টিকাতে পারছিলো না তখন সে রাশিয়ান কাফের দেশটিকেও এই হত্যাযজ্ঞ, এই ধ্বংসযজ্ঞে শামিল হতে উদ্বুদ্ধ করে। এর পক্ষে এতোকাল সে বলে এসেছিলো যে ওহাবী আল-কায়েদা, আইসিস সহ আন্তর্জাতিক "জিহাদী", "সন্ত্রাসী"-দের বিরুদ্ধেই তার এই যুদ্ধ। অর্থাৎ এই যে অগুণিত মানুষ নিহত হলেন, তার চাইতে কয়েকগুন সিরিয়ান দেশান্তরি হলেন তারা সবাই "সন্ত্রাসী" প্রভৃতি। ইরান বলেছিলো যে এই "সন্ত্রাসী"-রা সিরিয়ায় ক্ষমতার মসনদে বসলে সর্বপ্রথম ইরানে হামলা করবে। অর্থাৎ এদের উত্থান ইরানের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরুপ। আমার সুস্পষ্ট মনে আছে সিরিয়ায় অভিবাসনকৃত আমেরিক...