পিআর পদ্ধতি
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইন্টারনেট গবেষণার মাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক বয়ানকে সমৃদ্ধ করবার একটা চল দেখা যাচ্ছে। যেমন বিশ্বে বর্তমানে কতো প্রকারের পিআর পদ্ধতি কোন কোন দেশে চালু আছে তার একটা আলোচনা উঠে এসেছে। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের গুণগত পরিবর্তনের হিসাবে এটা ভালো। আবার অন্য অর্থে এটা দেশের প্রচলিত "নোট করা" সংস্কৃতির আধুনিকায়ন মাত্র।
এ দেশের মানুষদের স্কুল-কলেজ থেকেই "নোট করা" জাতীয় অপ-সংস্কৃতিতে দীক্ষিত করে তোলা হয়। এ কারনে ক্লাসের মেধাবী বলে বিবেচিত শিক্ষার্থীদের তৈরী করা নোট কে কেন্দ্র করে একটা পুরো অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। এমনকি বাংলাদেশের তথাকথিত সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বুয়েটে পর্যন্ত সিনিয়রদের "চোথা" বিকিকিনির একটা ব্যাপার চালু আছে। স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গাইড বুকের সংস্কৃতি-ও এর বড়ো উদাহরণ।
"নোট করা" দোষণীয় কিছু নয়। এর দোষনীয়তা এর ব্যাবহার কিংবা চর্চার ওপর নির্ভর করে। বিশ্ববিখ্যাত Schaum's কিংবা Dummies সিরিজের বইগুলো কিন্তু এক প্রকার নোট কিংবা গাইড বই-ই বটে! এমনকি হালের Cliffs Notes জাতীয় উদ্যোগ-ও এর অন্তর্ভুক্ত। বিষয়টা হলো উন্নত বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থা এসব গাইড বুকের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা ও বুদ্ধি চর্চা-কে সীমিত করে ফেলেনি। যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘটেছে।
এটা সমস্যা এ কারনে যে মানুষ তখন নিজের চিন্তাশক্তি-কে হারিয়ে ফেলে। সে সব সময় অন্যের থেকে বুদ্ধি, কর্মকৌশল ইত্যাদি ধার করে চলে। পুরো বাংলাদেশ নামক নিরাষ্ট্র্য-টি এর এক জ্বলজ্জ্যান্ত উদাহরণ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কালা-কানুন, সংস্কৃতি পুরোটা "চোথা" মারানির ফসল। ফলত: বাংলাদেশ হয়ে পড়েছে ঈশপের গল্পের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া সেই কাউয়ার মতো যে অন্যান্য পাখির ছেঁটে ফেলা পলক দিয়ে নিজের সৌন্দর্যবর্ধন করতে গিয়ে এক কিম্ভুতকিমাকার রুপ ধারণ করেছে।
মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাই। একটা লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হলো কিছু কিছু বিষয়ে আমি কেন জানি কোনরকম কৌতুহল বোধ করি না। পিআর পদ্ধতি তার একটি। সুতরাং এই সম্পর্কিত দু-একটা ভিডিও ক্লিপ চোখে পড়েছে বটে কিন্তু তাতে জামায়াতে ইসলামী তথা বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের ঠিক কোন স্বার্থ-টা রক্ষিত হবে তা আমার নিকট পরিষ্কার হয়নি। হয়তো এটা এ কারনে যে আমরা একজন রাজনৈতিকের দৃষ্টিতে নয় বরং একজন একাডেমিকের দৃষ্টিতে বিষয়টি-কে বুঝবার চেষ্টা করেছি।
তাই জামায়াতে ইসলামী যখন পিআর পদ্ধতির সূত্রে সম্ভাব্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার আশংকা খন্ডাতে নিজেদের রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতাকে তুলে ধরতে চেয়েছে তা আমাকে আশ্বস্ত করতে পারেনি। সমস্যাতো এটা নয় যে জামায়াতে ইসলামী দায়িত্বশীল কিনা। তারা যে দায়িত্বশীল রাজনীতির চর্চা করে তা তাদের ঘোর বিরোধী পক্ষও বিশ্বাস করে। এবং তা করে বলেই তাদের শীর্ষ নেতাদের হত্যার মতো একটা ঝুঁকিপূর্ণ কূটচাল নেয়ার দু:সাহস দেখিয়েছিলো। তার প্রত্যাশিত ফলও তারা পেয়েছে। অর্থাৎ জামায়াতে ইসলামী এমন অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখিন হয়েও দায়িত্বশীল রাজনীতির চর্চা অব্যাহত রেখেছিলো।
সমস্যা বরং এইটা যে জামায়াতে ইসলামী বাদে আর কারোর পক্ষেই এরকম উন্নত পর্যায়ের দায়িত্বশীল রাজনীতি চর্চার উদাহরণ নাই। সেক্ষেত্রে পিআর পদ্ধতিতে জামাত যদি সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন লাভও করে তথাপি পিআর পদ্ধতিতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সরকার বিরোধী পক্ষের যে পরিমাণ ক্ষমতায়ন ঘটে তাতে জামাত সরকার গঠন করলেও কি তা টিকিয়ে রাখতে পারবে? বা সুষ্ঠুভাবে তা পরিচালনার আঞ্জাম দিতে পারবে?
মিশর এবং তুরস্কে ঠিক এই কায়দাতেই কি ইসলামপন্থীদের বারংবার ঘায়েল করা হয় নাই? এই পিআর পদ্ধতি-ই ছিলো সেখানকার ডিপ স্টেটের জাদুর কাঠি। আমি রীতিমত আশ্চর্য হয়ে গেলাম যখন দেখতে পেলাম যে আমার আশংকা-কে সত্য প্রমাণিত করে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে কিভাবে ইসলাম পন্থীদের ক্ষমতাকে সংকুচিত বা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে মিশরে এবং তুরস্কে। এর সূত্রেই তাদেরকে ক্ষমতার বলয়ের বাইরে রাখা হয়েছিলো।
অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষকে যখন পিআর বোঝানোর জন্য জনগণের প্রদত্ত সব ভোট-কে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল গুলোর মধ্যে সুষম শতাংশের হারে বন্টন করে পোস্ট কার্ডের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো তখন আমার মনে এই সুষম বন্টনের নিশ্চয়তা নিয়ে সন্দেহ তৈরী হয়েছিলো। ধরুন এমন-ও তো হতে পারে যে বিএনপি-জামাত সহ বড়ো দল গুলো সবাই মিলে ৭৫ শতাংশ ভোট পেলো। বাকি ২৫ শতাংশ ভোট এমন অগুণিত সব দল পেলো যাদের কারোর পক্ষেই একক ভাবে ১ শতাংশ ভোট অর্জন করা সম্ভব হলো না। তখন কি হবে?
১ শতাংশ ভোট অর্জনের প্রশ্ন আসছে এই বিবেচনায় যদি এটাকেই সংসদে অংশগ্রহণের সর্বনিম্ন সীমা (threshold) হিসেবে ধরা হয়। মূল রাজনীতিটাও কিন্তু এই সর্বনিম্ন সীমা (threshold) নির্ধারন নিয়েই। তুরস্কের কামাল পাশা পন্থী, সেকুলারবাদী যে মিলিটারী ডিপ স্টেট তারা এই সর্বনিম্ন সীমা (threshold) নির্ধারণ করেছিলো ১০ শতাংশ। কেননা কুর্দি জাতীয়দের পক্ষে এর বেশী ভোট অর্জন করা সম্ভব ছিলোনা।
কুর্দি জাতিয়দের ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে এই রাষ্ট্রীয় নীতির একটা ঐতিহাসিক বোঝাপড়া ছিলো। আর তা হলো এই যে উসমানীয়দের আমল থেকে নিয়ে আধুনিক কাল পর্যন্ত-ও রাশিয়া-ই ছিলো তুর্কি জাতির জন্য অস্তিত্বের হুমকি (existential threat) স্বরুপ। তাই বলশেভিক বিপ্লবের পর সোভিয়েত রাশিয়ার পাশ্চাত্যবিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের বামবাদী নেতাদের তুরস্ক-সিরিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে এনে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়ানো হতো আরব ও তুরস্কে বলশেভিক বিপ্লবের প্রসার ঘটানোর জন্য। যদিও কামাল পাশার আবির্ভাবের পর সুন্নী কুর্দিদের আন্দোলন ছিলো ইসলাম কেন্দ্রিক তথাপি সামরিক শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে তাঁরা সংঘর্ষ এড়িয়ে চলবার নীতি গ্রহণ করলে তাতে পরোক্ষভাবে বামাতি কুর্দিদের ক্ষমতায়ন হয়।
১৯৭০-৮০ এর দশকের দিকে এই বামাতি কুর্দিদের চরমপন্থী অংশটির রাষ্ট্র্যব্যাপী নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর খড়গ নেমে আসে। একদিকে রীতিমত সাঁজোয়া যান, ট্যাংক, ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে ইস্তাবুল সহ বড়ো বড়ো শহরের রাস্তায়-রাস্তায় পাড়ায়-পাড়ায় বামাতি সর্বহারা জাতীয় পার্টির ধ্বংসযজ্ঞের মোকাবেলা করা হয় অন্যদিকে পিআর পদ্ধতিতে ঐ ১০ শতাংশ সর্বনিম্ন সীমা (threshold) নির্ধারণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেয়া হয়।
তবে যেহেতু বামাতিদের সকলেই কুর্দি জাতীয় নয় এবং সকলেই চরমপন্থী ছিলো না তাই অন্যান্য দলের ছত্রছায়ায় তাদের রাষ্ট্র্য ক্ষমতায় আরোহণ ঠেকানো যায় নি। এর সাথে যুক্ত হয়েছিলো মিলিটারী ডিপ স্টেটের কামালপাশাবাদী ইসলামপন্থী বিরুদ্ধ অবস্থান। ঐ শূন্যস্থান গুলোও পূরণ হয় চরমপন্থী তুর্কি জাতিয়তাবদী ও বামাতিদের দ্বারা।
কিন্তু প্রকৃত অর্থে এই অক্ষটি না ধর্মপ্রাণ তুর্কি জাতির প্রতিনিধিত্বের যোগ্য ছিলো, না ছিলো তারা প্রশাসনিক কাজে দক্ষ। এর ফলে আশি থেকে নব্বুইয়ের দশক নিয়ে ২০০৩ পর্যন্ত সময়কালে তাদের অদক্ষ-অপশাসনে তুর্কীদের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিলো। যার ফলে ২০০৩ এর নির্বাচনে দেখা গেলো এই জাতিয়তাবাদী+গণতান্ত্রিক বামাতি অক্ষের কেউই ঐ ১০ শতাংশ ভোট-ও অর্জন করতে পারেনি। উল্টো কুর্দিদের একটি ক্ষুদ্র অংশ প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশের অধিক ভোট পেয়ে সংসদে যায়।
তার চেয়ে বড়ো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে এরদোগান ও তাঁর আক (AK/স্বচ্ছ-সাদা) পার্টির ক্ষমতায়নে। দেখা গেলো সর্বমোট ৩৭% ভোট পেয়েও ওনারা সংসদের ৬৭% আসন প্রাপ্ত হলেন। কেননা ঐ যে বলেছিলাম ২৫ শতাংশ ভোট যদি সর্বনিম্ন সীমা (threshold) অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয় তখন কি হবে? সেই সমাধান তুরস্ক করেছে এই ভাবে যে সে ক্ষেত্রে বাকি ৭৫ শতাংশ দল গুলো যে হারে ভোট প্রাপ্ত হয়েছে ঐ ২৫ শতাংশের সম পরিমাণ সংসদীয় আসনও সেই হারে বন্টিত হবে।
আল-হামদুলিল্লাহ বান্দায় ভাবে এক আল্লাহ করেন আরেক। যে পদ্ধতি ইসলামপন্থীদের ঠেকিয়ে রাখার জন্য করা হয়েছিলো সেই পদ্ধতিতেই মহান আল্লাহ ইসলামপন্থীদের ক্ষমতায়ন করেছেন। আল্লাহু আকবার! ওয়াল খাইরু কুল্লুহু ফী ইয়াদাইক। অর্থাৎ সমস্ত কল্যাণ আপনার দুই আঙ্গুলের মধ্যবর্তী।
কিন্তু একথাও সত্য যে এমনটি কিন্তু সিরিয়া কিংবা মিশরে ঘটেনি। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে যে সিরিয়া, মিশর, ও তুরস্কে ইসলামপন্থীদের দমনে গৃহীত পদক্ষপে গুলো হুবহু একই হলেও তুরস্কে তার পরিণতি ভিন্ন হলো কিভাবে? পাঠক, এ বিষয়ের অবতারণা এখানে না করাই শ্রেয়। আসলে, সিরিয়া, মিশর, তুরস্ক নিয়ে কৌতুহল বশত: আমার স্বল্প গবেষণায় এতো চিন্তা ও কথা জমাট বেঁধেছে যে তাকে বিষয়ানুযায়ী ভাগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি মহান আল্লাহ তৌফিক দেন তাহলে বাংলাদেশের ইসলামপন্থী বিশেষত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কল্যাণার্থে কিছু বিষয়ে আলোকপাত করবার মনোবাসনা রাখি।
যাহোক, মিশরেও কিন্তু ঘটনা একই। তাদের সামরিক ছায়া রাষ্ট্র্য কর্তৃক যে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন করা হয়েছিলো তাও কিন্তু হয়েছে রাষ্ট্র্যের ওপর সামরিক পুঁজিতন্ত্রের আধিপত্য বজায় রাখবার জন্য। এটা সুস্পষ্ট যে মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো মিশরের সামরিক বাহিনী-ও বামাতি চিন্তাধারার দোষে দুষ্ট ছিলো। এ কারনে দেখা যায় উচ্চকক্ষ নির্ধারিত ছিলো নিম্নবিত্তদের প্রতিনিধিত্বশীল তথাকথিত শ্রমিক-মুটে-মজদুর ও মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্তদের প্রতিনিধিত্বশীল পেশাদার শ্রেনী বা প্রকৌশলী-চিকিৎসক-আইনবিদ-অর্থনীতিবিদ প্রভৃতি লোকদের জন্য নির্ধারিত। এবং সেখানে এই শর্ত আরোপিত ছিলো যে তারা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না।
ঠিক এই সূত্রেই সামরিক পুঁজিতন্ত্রের সাথে ইখওয়ান তথা প্রেসিডেন্ট মুরসীর সংঘাত চরমে ওঠে। কারন ভোটে দেখা যেতো জনগণ ভ্রাতৃসংঘ বা তাদের "প্রভাব বলয়াধীন" বলে বিবেচিত লোকদেরই নির্বাচিত করতো। ফলত: উচ্চ কক্ষের সংসদীয় আসন গুলিতেও তাদের সংখ্যাধিক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ঠিক এর জেরে মিশরের "সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত" (Supreme Constitutional Court) তাদের প্রতি স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে তাদের নির্বাচনকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেবার প্রয়াস চালায়।
পাঠক, আমার অবস্থান সুস্পষ্ট। বাংলাদেশের অবস্থা ততোক্ষণ পর্যন্ত পরিবর্তন হবে না যতোক্ষণ পর্যন্ত না বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে। তথাপি বাংলার জাত হিসেবে তারাও যে পারবে তার কোন গ্যারান্টি নাই। তাই তারা না "পারতে পারলেও" তাদেরকে "পারতে পারাইতে" হবে। আর তাই যদি আমার সাধ্য থাকতো তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমি তাদের মাথায় বন্দুক ধরে (at gun point) হলেও তাদের ক্ষমতাসীন করতাম। শর্ত থাকতো যে তারা দশ বছর দেশ চালাবে। এই দশ বছর তাদেরসহ অন্যান্য সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকান্ড স্থগিত থাকবে। এই দশ বছরে তারা বাংলাদেশে ব্যক্তি সমাজ ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে তাজদীদ ও তরবিয়্যাতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
ফলত: পুরো রাষ্ট্রটি ইসলামী চরিত্রের হয়ে উঠবে। যে রাষ্ট্র্য মিথ্যা বলে না, চুরি করে না এবং শলা পরামর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। এই রাষ্ট্র্যের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা কেবল ইসলাম ও শরীয়তের মূলনীতির প্রতি দায়বদ্ধ। কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি নয়। ভোট কার্যক্রম পরিচালনাকে তারা জনগণের পক্ষ থেকে তাদের ওপর অর্পিত একটা আমানত হিসেবেই দেখে। এভাবে দশ বছর পর যে নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে তাতে সে নির্বাচন হবে প্রকৃত অর্থে জনগণের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ মূলক, অবাধ, এবং প্রকৃত অর্থেই নিরপেক্ষ।
কিন্তু না আমার সেই ক্ষমতা আছে। না আছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মকান্ড বুঝবার মতো পর্যাপ্ত তথ্য কিংবা সেই উদ্ভট বাংলা মানস। এ কারনে যদি দেখি জামায়াতে ইসলামী পিআর পদ্ধতিতেই তাঁদের ও দেশের কল্যাণ দেখছেন তখন মেনে নেয়া ছাড়া আর উপায় কি? মহান আল্লাহ যেনো বাংলাদেশের মানুষকে জামায়াতে ইসলামীর খেদমত পাওয়ার এবং জামায়াতে ইসলামী-কে দেশের মানুষের খেদমত করবার তৌফিক দান করেন। আমীন।