Posts

Showing posts from October, 2024

আজকের গ্যাজানির বিষয়: আওমিলীগের নির্গমন, বোগদাদীর আগমন

একটা মজার ব্যাপার হলো জামাতকে যেমন এই উপমহাদেশে ছুপা শিয়া বলে প্রচার করা হয়, তেমনি ইখওয়ানুল মুসলিমীনকেও আরবে ইরানের দালাল বলে প্রচার করা হয়। এটা কারা করে এবং কেন করে তা পরিষ্কার মাথার লোকদের বুঝতে বেগ পেতে হয় না। তবে মানুষের একটা উল্লেখযোগ্য অংশের মাথা গোবরভর্তি। সমস্যা এখানেই। যখন প্রেসিডেন্ট মুরসি ইরান গেলেন, উনি ইরানি শিয়াদের সামনে সাহাবাদের রা: মর্যাদা তুলে ধরলেন। মুরসি ও আহমেদিনেজাদ এর যৌথ প্রযোজনায় মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন মেরুকরনের সম্ভাবনা দেখে তাগুতী শক্তি ঘাবড়ে গিয়েছিলো। ইসরায়েল গাজ্জায় হামলা করা শুরু করলো। মুরসির এক ফোনে সেই হামলা বন্ধ হয়ে গেলো। কিন্তু আরবের নতুন প্রজন্মের কাবিলগুলোর এতো স্ট্রাটেজির পরও ইসরায়েলের যুদ্ধ আজ অবধি থামানো যাচ্ছে না। যারা ইখওয়ানকে শিয়াদের সহযোগী বলে গালাগাল করেছে, ইখওয়ানের বোকামীতে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বাড়ছে বলে প্রপাগান্ডা চালিয়েছে, আজ তাদের এতো কূটনীতি ও স্ট্র্যাটেজিক ম্যানুভারের পরও গাজ্জার যুদ্ধে অন্যতম সুফল ভোগী ইরান। একই ঘটনা এই উপমহাদেশেও। মাওলানা মওদুদী কে শিয়া প্রভাবিত বলে বহু প্রচার প্রপাগান্ডা করা হয়েছে। অথচ বলা হয়ে থাকে যে ওনার লেখনী...

হক কথা: জালিমের দাওয়াই

Image
এই সূত্রে মনে পড়ে গেলো বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় গুন্ডা বাহিনী ও বালুর ট্রাক দিয়ে ঘিরে ফেলার প্রেক্ষিতে উনি বাড়ির ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে একটা ভাষণ দেন। এটা ছিলো মূলত পুরো জাতির গলায় ছুরি ধরার মতো ঘটনা। যা বাংলাদেশ পন্থী ও ইসলাম পন্থীদের একটা বিরাট পরাজয়। জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের এবং মরহুম সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর মতো ত্যাছড়া লোকদের হত্যার ধারাবাহিকতা। যার দায়ভার জিয়াও এড়াতে পারেন না। কিন্তু কথা হলো সে সময় জিয়ার বক্তব্য চলাকালে আশেপাশের পুলিশলীগের প্ররোচনায় উনি বক্তব্যের খেই হারিয়ে ফেলেন। ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে থাকেন: গোপালি পুলিশ! কথা সত্য কিন্তু মোক্ষম নয়। মোক্ষম কথা থেকে তাঁর দৃষ্টি ফেরাতেই এই কুকর্ম।   বক্তব্য কি ছিলো আমার সঠিক মনে নাই। কিন্তু এই বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন শিবিরের সূ্ত্রে পরিচিত পাড়ার এক বড়ো ভাই। যে বয়সের পোলাপান আমিশা প্যাটেলের দুই মনি পাছা নিয়ে পড়ে থাকে আমরা সে বয়সে অনেক উচ্চমার্গের বিষয় নিয়ে গ্যাজাতাম। এর মানে এই নয় যে নারীর ব্যাপারে আমরা নিস্পৃহ ছিলাম। বরং আমাদের জীবনে তা মুখ্য হয়ে উঠেনি। মূলত শিবিরের সূ্ত্রে যাদের সাথেই পরিচয় হয়েছে আমি এই বিষয়টা কম-বেশী ...

আসেন, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গ্যাজাই

Image
এই ম্যার কান্নাকাটি যতোবারই দেখেছি ততোবারই ইসকুল জীবনের এক বড়ো ভাইয়ের কথা মনে পড়েছে। বছর খানেক যাবৎ এনিয়ে লিখবো লিখবো করে লেখা হয়ে ওঠে নাই। তো ঘটনা হইলো হেই শোমো মেট্টিক-ইন্টার পরীক্ষার চাপে পোলাপাইন পাগল হয়ে যাইতো। এটাকে উন্নত শিককা বেবস্তার লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হইতো। এটা আমি পরবর্তী জীবনেও দেখেছি। সরকারী বার্চিটির মাস্টরগুলোর একটা কমন আত্মম্ভরিতা ছিলো যে তাদের পরীক্ষাগুলোতে খুব কম শিক্ষার্থী-ই পাস করতে পারে! ওয়াহ! ওয়াহ! আসো তুমরারে ফুলের মালা দিই।  তো আমাদের এক বড়ো ভাই বেশ মেধাবী। কি ভরাট গলা! নজরুলের বিদ্রোহী কোবতে আবৃত্তি করে বিখ্যাত হয়েছিলেন। মেটটিকে খাড়িয়েছিলেন। মানে স্ট্যান্ড করেছিলেন। ইন্টারেও করার কথা ছিলো। কিন্তু stand করার বদলে উনি stun করে গেলেন। পরীক্ষার আগে ওনার সেই কি প্রস্তুতি! প্রথম পরীক্ষা ছিলো পরিসংখ্যান। পরীক্ষাগুলো ওভাবেই সাজানো হতো। সহজ পরীক্ষা দিয়া শুরু করে মইদ্য খানে চৈত মাসের ঠাডা ফেলে এরপর আবার আয় বৃষ্টি ছেপে। মানে এক্কেবারে শ্যাষে সমাজবিজ্ঞান, প্রাকটিক্যাল ইত্যাদি বংসং। কিন্তু দেখা গেলো প্রথম দিন পরীক্ষা দিতে বসে উনি বুঝতে পারলেন যে উনি সব পড়া ভুলে বস...

লে বিরিয়ানি

Image
ধানমন্ডি ও এর আশেপাশে যারা থেকেছে তারা ষ্টার কাবাবে গিয়ে অভ্যস্ত। সারাদিন টোঁ টোঁ করে ঘুরার পর প্রচন্ড ক্ষুধা নিয়ে সেখানে গিয়ে ছাগলের লেগ রোস্ট খেয়ে আমরা অনেকেই ব্যাএএ করে কিছুক্ষন নেতিয়ে পড়েছি। আগে কি শনদর দিন কাটাইতাম! কিন্তু তাদের খাবারের মান যে কমে গিয়েছে এই অভিযোগ মোটামুটি ধারাবাহিক ভাবেই পাচ্ছি। এই ইউটিউবেই বছর খানেক আগে একজনে ভিডিও আপলোড দিলো ধনমন্ডির ব্রাঞ্চে খুব সম্ভবত মোরগ পোলাউয়ের সাথে সাদা সাদা কিড়ার ছবি। সেদৃশ্য দর্শনের পর আর কখনও ওমুখো হইনি। তবে চিন্তা নাই। যে বাঙ্গালী কামরুইল্যার পঁচা গম সাবাড় করে দিয়েছে তাদের পেটে এসব কিড়া নস্যি। ষ্টার কাবাব চিরজীবি হোক! তবে এক্ষেত্রে শুধু ষ্টার কাবাব নয় বাংলাদেশের হোটেলগুলোর হাইজিন কোন কালেই ভালো ছিলো না। হবেও না। এবং এটা বাঙ্গালীর গড়নগত। দেশের যে দুর্নীতি তার একটা বড়ো অংশ যতোটা না লোভ লালসা থেকে তার চেয়ে বেশী কুঁড়েমি থেকে। বাঙ্গালীর শরীরে কুলায় না। বাসা থেকে আপিসে যেতে যেতে ধ্বজভঙ্গ হয়ে পড়ে। অফিসে পৌছে চেয়ারের ওপর ধপাস করে শরীর ফেলে কিছুক্ষণ ঝিমোয়। কিছু চা-নাস্তাপাতি খায়। প্রথম আলু খায়। কলিগদের সাথে পাড়া-প্রতিবেশী, সমাজ, রাজনীতি নিয়ে ...

ইসলাম ও গণতন্ত্র

যারা গণতন্ত্র-কে কুফরী মতবাদ বলে প্রচারের নামে জামাত বিরোধিতায় নেমে পড়েছে তাদের হিসেবে জামাতের জন্য তাদের কল্লা উড়িয়ে দেয়া ফরজ হয়ে পড়েছে। কারন হাদীসের নির্দেশনা অনুযায়ী মুসলমানদের মধ্যে নেতৃত্বের বিষয়ে ঐক্যমত্য হবার পর কেউ নতুন করে নেতৃত্বের দাবী নিয়ে আসলে তার কল্লা উড়িয়ে দেয়া উচিত। সমাজের মধ্যে বিভাজন ও ফিৎনা ছড়িয়ে পড়াকে ঠেকানোই এর উদ্দেশ্য। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে ধরে নেয়া যায় যে তাদের ব্যাপারে দেশের ঈমানদারদের মধ্যে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং নেতৃত্বের অন্য যে কোন দাবীদারদের ফাসাদ সৃষ্টিকারী বিবেচনা করে তাদেরকে সেইভাবে প্রতিরোধ ও দমন করা আবশ্যকীয় হয়ে পড়ে যেভাবে খারেজীদের সাইয়্যেদুনা আলী রা: প্রতিরোধ ও দমন করেছিলেন। তবে এটা শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রে যারা গণতন্ত্র-কে কুফরী মতবাদ বলে দেশের ঈমানদার জনগোষ্ঠীর সরলতা নিয়ে ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এটা যে প্রধানত পতিত আওয়ামী মাফিয়াদের কুটকৌশল তা সচেতন নাগরিক মাত্রই বুঝে গিয়েছেন। তবে এই ফাসাদে ফাতরা হুজুরগুলোরও দায় আছে এ বিষয়েও কোন সন্দেহ নেই।   এক্ষেত্রে এ বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার যে ইসলাম...