লে বিরিয়ানি

ধানমন্ডি ও এর আশেপাশে যারা থেকেছে তারা ষ্টার কাবাবে গিয়ে অভ্যস্ত। সারাদিন টোঁ টোঁ করে ঘুরার পর প্রচন্ড ক্ষুধা নিয়ে সেখানে গিয়ে ছাগলের লেগ রোস্ট খেয়ে আমরা অনেকেই ব্যাএএ করে কিছুক্ষন নেতিয়ে পড়েছি। আগে কি শনদর দিন কাটাইতাম! কিন্তু তাদের খাবারের মান যে কমে গিয়েছে এই অভিযোগ মোটামুটি ধারাবাহিক ভাবেই পাচ্ছি। এই ইউটিউবেই বছর খানেক আগে একজনে ভিডিও আপলোড দিলো ধনমন্ডির ব্রাঞ্চে খুব সম্ভবত মোরগ পোলাউয়ের সাথে সাদা সাদা কিড়ার ছবি। সেদৃশ্য দর্শনের পর আর কখনও ওমুখো হইনি। তবে চিন্তা নাই। যে বাঙ্গালী কামরুইল্যার পঁচা গম সাবাড় করে দিয়েছে তাদের পেটে এসব কিড়া নস্যি। ষ্টার কাবাব চিরজীবি হোক!

তবে এক্ষেত্রে শুধু ষ্টার কাবাব নয় বাংলাদেশের হোটেলগুলোর হাইজিন কোন কালেই ভালো ছিলো না। হবেও না। এবং এটা বাঙ্গালীর গড়নগত। দেশের যে দুর্নীতি তার একটা বড়ো অংশ যতোটা না লোভ লালসা থেকে তার চেয়ে বেশী কুঁড়েমি থেকে। বাঙ্গালীর শরীরে কুলায় না। বাসা থেকে আপিসে যেতে যেতে ধ্বজভঙ্গ হয়ে পড়ে। অফিসে পৌছে চেয়ারের ওপর ধপাস করে শরীর ফেলে কিছুক্ষণ ঝিমোয়। কিছু চা-নাস্তাপাতি খায়। প্রথম আলু খায়। কলিগদের সাথে পাড়া-প্রতিবেশী, সমাজ, রাজনীতি নিয়ে চোগলখুরি করে। এভাবে তার কর্মস্পৃহা তৈরী হতেই অনেক সময় ব্যয়িত হয়ে যায়। এবং তা তৈরী হবার পরও বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়না। সে কলিকাতা হার্বালের খদ্দের তো এমনি হয়নি।

পাঠক এর সত্যতা খুঁজে পাবেন বিগত আউমি সরকারের যুগে। এর আগে এক-এগারোর সরকারের সময় বলা হয়েছিলো যে বেতনের অভাবেই নাকি সরকারি অফিস গুলোতে দুর্নীতি গেঁড়ে বসেছে। তাই তাদের বেতন সুযোগ সুবিধা সবই বৃদ্ধি করা হলো। এর সাথে মাফিয়া সরকার নিজে টিকে থাকতে তাদের জন্য অবৈধ উপার্জনের সব রাস্তা উন্মুক্ত করে দিলো। কিন্তু এরপরও কি সরকারী অফিসে নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা গিয়েছে?

ভাবুন। ভাবতে ভাবতে যখন ক্ষুধা লাগবে তখন ষ্টার কাবাবে চলে যাবেন। কিড়া পড়া বিরানি খেয়ে সেল্ফি তুলে প্যাঁচবুকে ছেড়ে দেবেন উইথ ক্যাপশন: আল-হামদুলিল্লাহ ফর এভরিথিং। আই এম প্রাউড এজ এ বাংলাদেশী।

Popular posts from this blog

আসেন, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গ্যাজাই

ইসলাম ও গণতন্ত্র

জামাতের ভোট: একবারে না পারিলে দাও শতবার