ইসলামী পরিচয় পুনোরুদ্ধারের পথপরিক্রমা
ইসলামী জাতীয়তাবাদ বনাম মুসলিম জাতীয়তাবাদ
পাকিস্তান আন্দোলনের একটি অন্যতম বুদ্ধিবৃত্তিক অর্জন হলো ইসলামী জাতীয়তাবাদ ও মুসলিম জাতীয়তাবাদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়। মুলত: এখানেই মাওলানা মওদুদী রহ: এঁর সাথে মুসলিম লীগের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধের সূত্রপাত। এই বিরোধ পাকিস্তান আন্দোলনের দ্বিতীয় স্তর।
প্রথম স্তরের বিরোধ ছিলো পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতার প্রশ্নে দেওবন্দী ঘরানার আলিম হোসাইন আহমেদ মাদানীর সহিত। অর্থাৎ আওলাদে রাসুল বলে দাবিকৃত ঐ আলিমের মতে ভৌগলিক সীমান্তের হিসেবে উপমহাদেশের সমস্ত ধর্মের মানুষ এক জাতি। এ কারনে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অগ্রহণযোগ্য!
গান্ধীর কংগ্রেসের নেতৃত্বে মুসলমানদের সহিত হিন্দুদের বিশ্বাসঘাতকতার ব্যাপার-টি যতোই স্পষ্ট হতে থাকলো পাকিস্তান আন্দোলন ততোই দানা বেঁধে উঠতে লাগলো। অর্থাৎ প্রথম স্তরে মাওলানা মওদুদী রহ: সুস্পষ্ট ভাবে ধর্মের ভিত্তিতে দ্বি-জাতি তত্ত্বের যে ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজনীতির মাঠে তার সত্যতা প্রমাণিত হলো।
হিন্দুদের বিশ্বাসঘাতকতার এই বিষয়টির অবতারণা না করা হলে উপনিবেশোত্তর রাজনৈতিক পথপরিক্রমার বোধগম্য উপস্থাপন অসম্ভব। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূ্র্ণ দলিল হলো গান্ধীর নেতৃত্ব গ্রহণ করা কংগ্রেসি মাওলানা আবুল কালাম আজাদের পীড়াদায়ক উপলব্ধি। যা তিনি তাঁর কিতাব ‘ভারত স্বাধীন হলো’ - তে ব্যক্ত করেছেন। যে গ্রন্থ প্রকাশের ব্যাপারেও ছিলো তাঁর অনিরাপত্তাবোধ। যে কারনে তাঁর মৃত্যুর তিরিশ বছর অতিবাহিত হবার পূর্বে তা প্রকাশ করার বিরুদ্ধে তাঁর উইল করা ছিলো।
অর্থাৎ যে গান্ধী তার লাশ না মাড়িয়ে ভারত বিভক্ত হতে দেয়া হবেনা বলে হুমকি দিয়েছিলো, সে-ই গান্ধীর পক্ষ থেকে দুদিন বাদে মাওলানা আজাদ ভারত বিভাগের স্বপক্ষের আলাপ শুনে এক ধরনের অস্তিত্বের সংকটে পড়ে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ তাঁর রাজনৈতিক জীবনের যৌক্তিকতার প্রতি এক ধরনের সংশয় তৈরী হয়েছিলো। পরবর্তীতে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছিলেন যে, কোন এক বিলাতী নীতিনির্ধারক গান্ধীকে এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হলেও তা টিকবে না বা টিকতে দেয়া হবে না। উপনিবেশোত্তর উপমহাদেশের সম্পদ বন্টন বিশেষত সামরিক সরঞ্জামাদির ক্ষেত্রে তার প্রমাণ মেলে।
কিন্তু দ্বিতীয় স্তরে এসে সমস্যা তৈরী হলো এই যে যেখানে মুসলমানেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের জন্য নামাজ আদায় অপরিহার্য সেখানে সূরা ফাতিহা পড়তে না জানা ব্যক্তি-কে ইমামতীর দায়িত্ব দিয়ে দেয়া হলো! মুসলিম লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান আন্দোলনের বিষয়টা তেমন-ই।
তেমন যুগসন্ধিক্ষণে-ই মাওলানা মওদুদী রহ: তাঁর মুসলমানি ও ইসলামী বিভাজনের রুপরেখা উপস্থাপন করেন। অর্থাৎ মুসলিম লীগের মতে আস্তিক-নাস্তিক, পুঁজিবাদী-কমিউনিস্ট, নির্বিশেষে মুসলমান নামীয় সকলেই এক জাতি। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের সংগ্রাম হয়ে পড়ে অমুসলমান নামীয়দের বিরুদ্ধে মুসলমান নামীয়দের সংগ্রাম।
অর্থাৎ ছদরুল ম্যাওবাদী কমুনিস্ট, বদরুল লেনিন কর্তৃক লেলিয়ে দেয়া কমুনিস্ট। সত্যেন সাধারণ হিন্দু। এখন বদরুলের সাথে সত্যেনের যদি বিরোধ হয় এবং সেই বিরোধে বদরুলের দায় যদি বেশিও হয় তথাপি সত্যেনের বিরুদ্ধে ছদরুল-বদরুল এর চোদোদলীয় মহাজোট গঠন হওয়া চা-ই চাই।
এখানেই মাওলানা মওদুদী রহ: এর আপত্তি। তিনি স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন যে ইসলামী জাতীয়তার মূল ভিত্তি হলো ওয়াতাওয়া সওবিল হাক্ব, ওয়াতাওয়া সওবিস সবর। অর্থাৎ হক্ব ও সবরের প্রতি পারস্পরিক স্বীকৃতি-ই ইসলামী জাতীয়তার ভিত্তি। সেক্ষেত্রে কোন মুসলিম নামীয় ব্যক্তি কর্তৃক কোন অমুসলিম নামীয় ব্যক্তি নিগ্রহের স্বীকার হলে একটি ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় মুসলিম নামীয় ব্যক্তি-ই দোষী সাব্যস্ত হতে বাধ্য।
পরিচয়ের সংকট
এই মুসলমানী বনাম ইসলামী বিভাজন কেতাবি বিচারে অসংগত। কারন একজন মুসলিম কি করে ইসলাম পন্থী না হয়ে অন্যকোন পন্থী হতে পারে? কিন্তু রুঢ় বাস্তবতা এটা-ই যে মুসলমান নামীয় মাত্রই মুসলমান নন। মুসলমানের পরিচয় সংকটের মুল এটাই।
সে-ই সূত্রে যখন দেখতে পাচ্ছি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভিসি হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যাপক মহোদয় তাঁর ছাত্রদের নিয়ে জামাতে নামাজের ইমামতি করছেন তখন আপ্লুত হই বৈকি! তথাপি উপনিবেশোত্তর বুদ্ধিবৃত্তিক সংকট ও রাজনৈতিক নীচতার অভিজ্ঞতা আমাদেরকে সজাগ হতে বাধ্য করে। প্রশ্ন জাগে শিক্ষাখাতের শীর্ষ পর্যায়ে এই ইসলামী উপস্থাপন গুণগত পরিবর্তনের ঈঙ্গিতবাহী না তা স্রেফ জনতুষ্টি প্রকৌশলের অংশ?
একথা বলা বাহুল্য যে মুসলমানের দানকৃত সম্পত্তিতে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান সমূহের ইসলামী ঐতিহ্য ধারণ একটা স্বত:সিদ্ধ প্রত্যাশা। কিন্তু তার চাইতে গুরুত্বপূ্র্ণ আলোচনা এই যে ইসলামী ঐতিহ্য ধারণের স্বরুপ-টা কি? ফরাসি বিপ্লবের ধর্মহীন প্রত্যাশাকে ধারণ ও প্রচারের জন্য যে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের প্রতিষ্ঠা তা কি করে ইসলামী ঐতিহ্য কে ধারণ করতে পারে? যদি করেও সেক্ষেত্রে তা-কি বিশ্ববিদ্যালয় থাকে না জামিয়ায় পরিণত হয়? একটা ব্যাংক পুরোপুরি ইসলামী ফিকাহ সম্মত হলে তা কি আর লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান থাকে না ব্যবসায় কারবারে পরিণত হয়?
দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ যে ছাত্র রাজনীতি সহ নানা সংকট ও সমস্যায় জড়িত জামিয়া গুলোতে সেই সমস্ত সংকট ও সমস্যা দেখা যায় না কেনো? জামিয়া গুলোতে ছাত্র রাজনীতি সহ বিভিন্ন তরিকার ছাত্রদের সমাবেশ ঘটলেও কেনো তাদের মধ্যে লগি-বৈঠার মারামারি, র্যাগিং, সেশন জট জাতীয় সমস্যার মহামারী নেই? কেনো বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ভিসি নিয়োগের মতো মুহতামিম নিয়োগ প্রক্রিয়া জটিল আকার ধারণ করে না?
কর্মপ্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি
অর্থাৎ পরিচয়ের সংকট থেকে যে সমস্যার শুরু তা বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতা উস্কে দিয়ে কর্মপ্রক্রিয়ায় পর্যন্ত বিভ্রান্তি তৈরী করেছে। যে কারনে মুসলমানের ইসলামী পরিচয় পুনর্গঠনে অনৈসলামী ধ্যাণ-ধারণা, কর্ম-পদ্ধতির প্রচ্ছন্ন উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ ও তার কোরানিক সাইন্স কিংবা হাদীস স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট গুলো তার জ্বলন্ত সাক্ষী।
আমার মতে একজন সফল গবেষক কিংবা শিক্ষক কে ভিসি পদের সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত গন্য করার মানসিকতাও এই বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতা ও কর্মপদ্ধতির বিভ্রান্তির পরিচয়। কেননা ভিসি মুলত একটি প্রশাসনিক পদ। সাংগঠনিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাই যেখানে মুখ্য। সেখানে একজন গবেষক কিংবা শিক্ষক কে নিয়োগ দান করা একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বৈ কিছু নয়।
খুব সম্ভবত আমরা এই স্তরটিকে মুসলমানের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের তৃতীয় স্তর হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। অর্থাৎ এই স্তরে মুসলমান ইসলামী হয়ে উঠতে চাচ্ছে কিন্তু তার উপনিবেশোত্তর মানসের প্রচ্ছন্ন অনৈসলামী উপাদানগুলো তাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
যেমন মুসলমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয়ে উঠতে চাচ্ছে জ্ঞানগত উৎকর্ষের কেন্দ্র। আধ্যাত্বিক উৎকর্ষের আলাপ এখানে অনুপস্থিত। যার ফলে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে মানুষেরা হয়ে উঠছে উচ্চ পর্যায়ের বাটপার। যে বিজ্ঞান মানব কল্যাণে ব্যয়িত হওয়ার কথা তা তৈরী করছে ফ্র্যাঙ্কেস্টাইন। ডিগ্রী, পদ-পদবি, ও অন্যান্য দুনিয়াবী অর্জন আদম সন্তানকে করে তুলছে দাম্ভিক, স্বেচ্ছাচারি।এ এমন এক সর্বনাশা প্রক্রিয়া সর্বস্ব বিনাশেই যার একমাত্র ক্ষান্তি।
বিশ্ববিদ্যালয় পুড়য়াদের নিকট টেকনিকাল, মাদ্রারসা শিক্ষার্থীরা পাত্তা পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক, প্রাইভেট বিভাজন হচ্ছে। একজনকে বাপের পয়সার ডিগ্রী বলে খোঁটা দেয়া হচ্ছে ও অপর জনকে খয়রাতি পড়ার খোঁটা। বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিতে কলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা হচ্ছে তাচ্ছিল্যের স্বীকার। কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়ুয়ারা রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞানের মতো “নীচের সিরিয়ালের” শিক্ষার্থীদের পাত্তা দিচ্ছে না। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতায় উৎকর্ষ অর্জনকারী ছাত্রটি থিওরেটিকাল কম্পিউটার সাইন্স-কে কর্মহীন অকেজো ডিগ্রী বলে তামাশা করছে। বিপরীত পক্ষে তত্ত্বীয় বিজ্ঞানের ছাত্র প্রায়োগিক বিদ্যাকে হার্ডির মতো সত্য উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অন্তরায় বলে সাব্যস্ত করছে।
এভাবে অহমবোধের একটা মহামারী চলছে। আমি, আমার, মা-ই প্রে-সিয়াস! এই চিত্র সর্বত্র। এমনকি মেথর পট্টির পরিচয়হীন-টি পর্যন্ত নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেজর হবার পর নিজেকে সায়েব হিসেবে তুলে ধরতে এনরেজি কপচাচ্ছে ‘ব্লাডি সিভিলিয়ানস’। যেনো তার চৌদ্দ গুষ্ঠীতে কোন সিভিল পার্সন নাই।
মুসলমানদের ইসলামী পরিচয় পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অনৈসলামি কর্ম-পদ্ধতির দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ খুব সম্ভবত স্বয়ং মাওলানা মওদুদী রহ: নিজে। যে কোন ইসলামী পন্ডিত আজ স্বীকার করেন যে মুসলিম মানসে কমুনিস্ট ও সেকুলার চিন্তাধারার সয়লাবের বিরুদ্ধে মাওলানা মওদুদী রহ: সুউচ্চ পর্বত শৃঙ্গের ন্যায়। কিন্তু এই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মওলানা নিজের অজান্তে কমুনিস্ট ও সেকুলার চিন্তাধারার প্রচ্ছন্ন স্বীকৃতি দিয়েছেন তাদের সংগঠন ও পরিভাষা আত্মস্থ করনের মধ্য দিয়ে।
মাওলানার নিজের পরিবার সুফীবাদি তরিকার বংশানুক্রমিক ধারক ও বাহক হওয়া স্বত্তেও মাওলানার উপলব্ধি ছিলো যে এই কর্মপদ্ধতি এতোটা বিকৃত হয়ে গিয়েছে যে এর সংস্কার অসম্ভব। তো তার বিকল্প কি? ওয়েল জামাতে ইসলামী বা ইসলামী কমুনিজম। অর্থাৎ বিশ্বাসের দিক থেকে ওনারা পুরোদস্তুর ইসলামী কিন্তু কর্মপ্রক্রিয়া, সংগঠন কাঠামো, ও পরিভাষার দিক থেকে ওনারা কমিউনিজম ও সেকুলারিজম দ্বারা প্রভাবিত।
যা আমরা দেখতে পাই তাঁদের সাহিত্যের পাতায় ও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে। তাঁরা বিপ্লব চান। অথচ বিপ্লব শব্দ-টাই তথাকথিত রেনেসাঁ উত্তোর উচ্ছৃঙ্খলতা। বিপ্লব হঠাৎ, তড়িত, ও ক্ষণস্থায়ী। তাজদীদ তথা সংস্কার পরিকল্পিত, সংকল্পকৃত, ও দীর্ঘস্থায়ী। তাঁরা সেকুলার শ্লোগান-কে ইসলামী রুপ দান করতে চেয়েছেন। বিশেষ দিবসকে কোরান দিবস ঘোষণা করে শ্লোগান দিচ্ছেন, ‘আল-কোরানের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো’।
আমার মতে ধার্মিকতার উদ্ভট প্রকাশও এই তৃতীয় স্তরের সংগ্রামের অংশ। অর্থাৎ মুসলমান ইসলামী হয়ে উঠতে চেয়ে ইসলামী জীবনের একটা স্বপ্রকল্পিত উদ্ভাবন ঘটাচ্ছে যা অভূতপূর্ব। সাম্প্রতিক সময়ে তালিবানদের দাঁড়ির মাপ, নিকাব, ও পিতামাতার প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা নিশ্চিতকরণ সম্পর্কিত “আইন” প্রণয়নের প্রচেষ্টা তার একটা উদাহরণ। মনে হয় যেনো অত্র অঞ্চলে একমাত্র দেওবন্দী বেতালেএলেমেরাই রাষ্ট্র গড়েছে। আর কেউ গড়ে নাই। খারেজমশাহী সালতানাতের কর্তা ব্যক্তিরা বেডাদের BAL-এর মাপ আর বেডিদের শইল্যের কাপড় ভেদ করে মেদ প্রকাশিত হয়ে যাওয়া নিয়ে পড়ে থাকতেন কিনা প্রশ্ন জাগে!
বিভ্রান্তির সংগ্রামই পথপরিক্রমা
কথা হলো মুসলমানের ইসলামী পরিচয়ের পুনরুজ্জীবন এই তৃতীয় স্তর এড়িয়ে নির্মাণ করা কিছুতেই সম্ভব নয়। স্বয়ং ইমাম গাজ্জালীকে গ্রীক দর্শনের মোকাবিলা করতে হয়েছিলো গ্রীক দর্শন দিয়ে। যে কারনে ইবনে রুশদ তাহাফুত আত-তাহাফুত অর্থাৎ গাজ্জালীর ‘অসংগতির’ অসংগতি তুলে ধরতে প্রয়াস পেয়েছিলেন। এটা চক্রাকার বটে! কিন্তু হুজ্জাতুল ইসলাম যেভাবে দেখিয়েছেন আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে যা অর্জন করা যায় চিন্তাকর্মে তা যায় না। বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদুর।