ডিপস্টেট

খুব সম্ভবত ডিপস্টেট এর বাংলা করা অসম্ভব। অন্তত আমি বহু ভেবেও পারি নাই। ছায়ারাষ্ট্র্য, সমান্তরাল রাষ্ট্র্য এ যাবতীয় কোন কিছুই ডিপস্টেট এর মর্মার্থকে ধারণ করতে পারে না। সুতরাং ডিপস্টেট-ই সই।

কথা হলো ডিপস্টেট কোন সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নয়। বরং এটি একটি মানস। কিছু ধ্যান-ধারণা বা বিশ্বাসের সমষ্টি। এবং তার থেকে উদ্ভুত একটি চিন্তা কাঠামো। তবে শুধু চিন্তা কাঠামোর উপস্থিতি ডিপস্টেট তৈরী করে না। বরং শাসন ক্ষমতায় তার সক্রিয় চর্চা-ই ডিপস্টেট এর উপস্থিতি জানান দেয়।

বাংলাদেশে ডিপস্টেট বলতে বোঝায় সেই মানস যা উপনিবেশবাদী শোষণ ব্যবস্থাকে জারী রাখতে চায়। যা বাংলাদেশে ভারতীয় স্বার্থ রক্ষায় তৎপর। যা ইসলামকে শুধুমাত্র ব্যক্তিজীবনে সীমাবদ্ধ করে রাখার পক্ষপাতি। এসব প্রত্যক্ষ এবং প্রচ্ছন্ন উভয় ভাবেই ঘটে থাকে। প্রত্যক্ষ ভাবে ঘটার অনুঘটকেরা ভারতের বিশেষ এজেন্ট হলেও, এটা দেশীয় লোকদের মধ্যে যারা পুরোপুরি এই মানসকে আতস্থ করেছে তাদের দ্বারাও ঘটে। তবে এর চাইতে বিপদজনক হলো এর প্রচ্ছন্ন ভাবে ঘটার বিষয়টা। কারন যাদের মাধ্যমে এটা প্রচ্ছন্ন ভাবে ঘটে তারা এই মানসে বিশ্বাসী না হলেও এর নিকট পরাধীন। এই পরাধীনতা অনেক সময় চারিত্রিক দুর্বলতা থেকেও উৎসারিত। তবে যখন তা মানসিক দুর্বলতা থেকে উৎসারিত হয় তখন তা মোকাবেলা করা বেশ দুষ্কর হয়ে ওঠে।

এর সাথে মুসলমানদের কুফরী ব্যবস্থা, চিন্তাকাঠামো আতস্থ করার একটা সম্পর্ক রয়েছে। উপনিবেশপূর্ব যুগে মুসলমানদের পূর্ব পুরুষেরা বৈদেশী শাসন, কার্যপদ্ধতিকে আমল নেয়ার প্রয়োজন মনে করতেন না। কারন তারা যে পদ্ধতিতে শাসন করতেন তাতে জনগনের জীবন-মানের উন্নতির সাথে সাথে বিদেশী আগ্রাসনকেও সফল ভাবে প্রতিহত করা যেতো। কিন্তু উপনিবেশবাদীদের নিকট পরাজয়ের পর থেকেই মুসলিম মানসে ধীরে ধীরে তার পরাজয়কে আত্মস্থ করতে শেখানো হয়। সে বিশ্বাস করতে শুরু করে যে এই পরাজয়ের মধ্যেই তার কল্যাণ। আফটার অল, বিলাতীদের কারনেই তো উপমহাদেশে রেল গাড়ি এসেছে!

এই পরাজিত মানসিকতা অনেকটা চক্রবৃদ্ধি সুদের মতো। একদিকে সে গভীরভাবে পরাজয়ের কলাকৌশলকে আত্মস্থ করতে শিখে, অপরদিকে বাস্তবতার বিচারে জয়ী হবার বদলে নিজেকে বারংবার পরাজিত হতে দেখে সে মানসিকভাবে আরও পরাজয় মুখী হয়ে পড়ে। অর্থাৎ গোলামীকে স্বাধীনতা গন্য করে যখনই সে বুক ফুলিয়ে চলতে চায় তখনই তার প্রকৃত মালিকেরা তার গালে কষে চড় মেরে দেয়। তাতে বিগড়ে গিয়ে সে গোলামীকে আরও জোরে আঁকড়ে ধরতে চায়, কেননা সে গভীরভাবে বিশ্বাস করে যে তার মুক্তি কেবলমাত্র এভাবেই সম্ভব।

মুসলমান দেশ সমূহে যে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলতা তা মূল এই মানসিক বিভ্রান্তি থেকে উৎসারিত। উপনিবেশোত্তর শাসনের নামে যে শোষণ চলে তাতে একটি গোষ্ঠীকে সুবিধাবঞ্চিত করা হয়। শাসনের সাথে যুক্ত গোষ্ঠী বিভিন্নভাবে তাদেরকে অবৈধকরনের প্রচেষ্টা চালায়। এই প্রচেষ্টায় সে তার উপনিবেশবাদীদের সহয়তা লাভ করে। সে প্রকৃতই মনে করে যে এই গোষ্ঠীটির কারনেই তার জাতির অগ্রগতি সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে তাদের পশ্চাদপদ, সেকেলে, জঙ্গী, জ্ঞান-বিজ্ঞান বিরোধী ইত্যাদি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়।

এভাবে জনগনের ভেতরের একটি গোষ্ঠীকে অবৈধকরনের পর যখন একটি স্থায়ী বিভাজন তৈরী হয় তখন তার থেকে জন্ম নেয় বিভিন্ন সংকটের। তখন সেই গোষ্ঠীটি আবার শাসক গোষ্ঠীকে কাফের, ধর্মদ্রোহী, দেশদ্রোহী, জনদ্রোহী ইত্যাদি অভিধায় অভিযুক্ত করতে থাকে। যা এক সময়ে সংঘর্ষের তৈরী করে। উপনিবেশবাদীরা ঐ সময়ে সেই পশ্চাদপদ, সেকেলে, জঙ্গী, জ্ঞান-বিজ্ঞান বিরোধী গোষ্ঠীকেই মানবিকতা, গণতন্ত্র ইত্যাদি বিভিন্ন অজুহাতে মদদ দিয়ে এই বিভাজনকে উস্কে দেয়। এভাবে মুসলমানদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে তখন কোন পক্ষই আর জয়ী থাকে না।

এই যে প্রক্রিয়াটা বর্ণনা করা হলো, তা একটি সরলিকৃত পর্যবেক্ষণ মাত্র। এর কুশিলবেরা সুনির্দিষ্ট নয়। এর অনুঘটকেরা পূর্ব-পরিচিত নয়। এর ধারাবাহিকতা পূর্ব-নির্ধারিত কোন ষঢ়যন্ত্র তত্ত্বের ফসল নয়। এ কারনেই সুনির্দিষ্ট ভাবে কোন পক্ষকে দায়ী করা এক্ষেত্রে দুষ্কর হয়ে পড়ে। সরকার বলবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যই আমরা কঠোর হস্তে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলাম। উপনিবেশবাদীদের যদি দায়ী করতে চান তখন তারা বলবে যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সরকার-ই একমাত্র বৈধ পক্ষ বলেই তাকে আমরা সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছি। তারপর বলবে নিজেদের জনগনের ওপর এ ধরনের নির্যাতন কি মেনে নেয়ার মতো? এ কারনেই আমরা সরকারী হত্যাযজ্ঞের বিপরীতে বিদ্রোহীদের সাহায্য করেছি।  বিদ্রোহীরা বলবে শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতনকে কতোদিন সহ্য করা যায়? এ কারনেই আমরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়েছি।

কিন্তু তাই বলে দায়ভার যে কারও ওপরে বর্তায় না, তা-তো নয়। সর্বপ্রথম এই দায়ভার উপনিবেশবাদীদেরই নিতে হবে। ব্যাপারটা তো এমন নয় যে দিগ্বিজয়ী মুসলিম শাসকেরা এক সময় তামাম দুনিয়া শাসন করে বেড়ান নাই। শাসনকৃত অঞ্চল থেকে তাদের শাসন সরিয়ে নেবার পর শতবর্ষী এমন নৈরাজ্য কোথায় হয়েছে? নৈরাজ্য হয়েছে। সেটা সাময়িক। ক্ষমতার হস্তান্তরগত। ঐইটুকুই। কিন্তু এভাবে যুগের পর যুগ ফেৎনা-ফাসাদ, অন্তর্দন্দ, কলহ জিইয়ে রেখে দুর থেকে ঐসব জাতির শোষণের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কেবল পাশ্চ্যাতিয় উপনিবেশবাদীদের একমাত্র দায়ভার।

সেই সূত্রে বর্তমান সময়ে যখন জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে বাংলাদেশের আপামর মুসলমান ধীরে ধীরে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে তখন আমরা ধর্মীয়-অধর্মীয় ইত্যাদি নানা মহল থেকে নানা কায়দার কলাকৌশল চালাচালির প্রবণতা লক্ষ্য করছি। কেউ তা করছে স্বজ্ঞানে, কেউ মসনদ ও সম্পদের লোভে, আর কেউ না বুঝে লাফাচ্ছে।

তার সাম্প্রতিক প্রদশর্নী হয়ে গেলো বাংলাদেশে জাতিসংঘের অফিস করাকে কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিশেষের বাদ জুম্মা প্রতিবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। সমস্যা প্রতিবাদে নয়, সমস্যা চিহ্নিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর। সমস্যা তাদের বয়ানের। এমনকি তাদের মধ্যকার একজন পরোক্ষভাবে জামায়াতে ইসলামীকে মুনাফেক সাব্যস্ত করে বলেছে যে তারা বুলেট নয়, ব্যালট পূজারী। এই সকল কাবিলদের বুলেট পুজার ধরণ বিগত ১৭ বছরের আওয়ামী আমলে আমরা দেখেছি।

ব্যাপারটা এমন নয় যে আমরা জাতিসংঘের অফিস করতে দেয়াকে সমর্থন করি। ব্যাপারটা এমনও নয় যে প্রতিবাদকারীদের সকল বক্তব্যই ভ্রান্তিপূর্ণ। বরং তাদের অনেক উদ্বেগের সাথেই আমাদের উদ্বেগের মিল রয়েছে। সমস্যা নেতৃত্ব বাছাইয়ে। এজন্যই আমি বলে থাকি যে, কি বলা হলো বা কি করা হলো তার চাইতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো তা কে বলেছে বা কে করেছে? কারন দুষ্টের শিষ্টাচার আর শিষ্টের দুরাচার বিপরীত ঈঙ্গিতবাহী।

আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে রাসূল সা: এর ওফাত পরবর্তী সময় থেকে শিক্ষা লাভ করতে পারি। সেই সময়ে উসমান রা: এঁর প্রতি স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, এমনকি সুন্নাহ তরক করবার অভিযোগও তোলা হয়েছিলো। আলী রা: কে বিদ্রোহীদের মদত দাতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছিলো। এই উভয় ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে যারা খারিজ করে দিয়েছিলো তাদের কেউ নবীজি সা: এঁর সাহাবি ছিলো না। প্রত্যেকেই দুই দিনের বৈরাগী। অথছ ইসলামের জন্য ঐ দুই সাহাবা রা: এঁর আত্মত্যাগ সর্বজন বিদিত। এ কারনে সাহাবাদের অনেকেই তাদের অনেক কার্যকলাপ, শাসন-নীতির সাথে একমত না হলেও কেউ-ই তাদের ইসলাম থেকে খারিজ করবার মতো জাহেলিয়াতে লিপ্ত হন নাই। সাহাবা রা: এঁর যাদের ব্যাপারে নবীজির ভবিতব্য ছিলো তাদের অনেকেই ঠিক সে-ই সব ভবিতব্য অনুযায়ী এক অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের অনেকে অনুশোচনাও করেছিলেন। কিন্তু দুই দিনের বৈরাগীরাই ছিলো মুল অঘটনঘটনপটিয়াসী।

তদ্রুপ আওয়ামী আমলে আমরা যাদেরকে জেল-জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হতে দেখি নাই কিংবা হতে দেখলেও কোন এক অবোধগম্য কারনে স্বল্প সময়েই তাদের জেলমুক্তি ঘটেছে তো বটেই পরবর্তীতে তাদের বরং বীর বেশে উত্থান ঘটেছে বা ঘটানো হয়েছে। যেখানে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ পান থেকে চুন খসে পড়তে গ্রেফতার হয়ে যেতেন, সেখানে আওয়ামী আমলে আমরা দেখেছি বামবাদী ও হুজুর উভয় শ্রেনীর আওয়ামী বিরোধীতার কাব্যিক ঝংকার। যেখানে জামায়াতে ইসলামী প্রায় একশ বছর ধরে দাওয়াত, তবলীগ, ও সংগঠনের কাজ করবার পরও তাদের বাণী জনগণের নিকট পৌঁছাতে নানা রকম প্রতিকুলতা, প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়ে গলদঘর্ম হতে হয়, সেখানে কি করে রাতারাতি কোন কোন ব্যক্তি তৌহিদী জনতার মহানায়ক বনে যায় তা আমাদের অবোধগম্য নয়। সর্বপরি এদের সকলেই সাধারণভাবে জামাত বিদ্বেষীতো বটেই বরং বিদ্বেষীতার সেই সিলসিলার ধারক ও বাহক।

জামাত ও ভাতৃসংঘ-কে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই উভয় শ্রেনীর তীরে বিদ্ধ হয়ে শাঁখের করাতের ওপর চলতে হয়েছে। একদিকের হিসাবে তারা ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তি। অপরদিকের হিসেবে তারা যথেষ্ট পরিমাণে ইসলামী নয়। এক্ষেত্রে বামবাদী কুশীলবদের মুল ক্ষমতা ডিপস্টেট উৎসারিত হলেও, সহীহ ইসলামের জায়গীরদারদের মূল শক্তি হলো সাধারণ মুসলমানের অজ্ঞতা।

তবে এই সকল লোকদের ব্যাপারে আমার সবচেয়ে বড়ো যে আপত্তি-টা তা হলো তাদের দুনিয়ার বুঝ ভয়াবহ প্রকৃতির ঠুনকো। এই ক্ষেত্রেও কথায় কথায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ধুয়া তোলা বামবাদীদের সাথে তাদের একটা মিল আছে। এটা শুধু বিরক্তিকরই নয়, বিপদজনকও বটে!

যদি লক্ষ্য করেন দেখবেন এই সমস্ত লোকই শিক্ষকতার সাথে জড়িত। অর্থাৎ রাজনীতি তাদের মূল বিষয় নয়। তাদের বিষয় শিক্ষকতা। হাসিনার পুলিশের লাত্থিতে পাচা লাল হয়ে গেলে কিংবা বিএনপি থেকে এক-দুইটা আসনের আশ্বাস পেলে ওহাবীদের মতো এরাও শাসন ক্ষমতা সেকুলারদের, হুজুরগীরি আমাদের এই বন্দোবস্তে নিজেদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করে ফেলে। কিন্তু যেই মূহুর্তে জানবাজ ইসলামিস্টরা তাদের ক্ষমতায় যাবার একটা সম্ভাবনা তৈরী করে তখন থেকে তাদের অবৈধকরনে ডিপস্টেটের যে প্রক্রিয়া তার সাথে ঐসব হুজুরেরা জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে যুক্ত হয়ে যায়।

আমার কথা স্পষ্ট। যদি আওমীলিগের মতো সুস্পষ্ট প্রকৃতির ধর্মদ্রোহী, জনদ্রোহী শক্তি বুলেটের জোরে ক্ষমতা দখল করে নিতে পারে, তাহলে জামায়াতে ইসলামের মতো শক্তি সমূহের ব্যালটের জোরে ক্ষমতা ও শাসন কার্য পরিচালনার অধিকার আরও বহুগুণে স্বীকৃত হওয়া উচিত। যদি আওমীদের মতো সেকুলার শাসকদের অধীনে এই হুজুর শ্রেণী মোটা দাগে বাধা তৈরী না করে চলতে পারে, তবে জামায়াতে ইসলামীর মতো ইসলামিস্ট শাসকদের অধীনে তাদেরও মোটা দাগে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করা অনুচিত।

অন্যথা ধরে নেয়া হবে তাদের উদ্দেশ্যই অসৎ। সেক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে, আইনী প্রক্রিয়ায়-ই তাদের মোকাবেলা করা হবে। তবে তা তখনই সফলতা পাবে যদি দেশের সাধারণ মুসলমান ইসলামিস্টদের ইমামতে অবিচল মুক্তাদী হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকে।

আমি পূর্বেও বলার চেষ্টা করেছি। আবারও বলছি। শাসন ক্ষমতা একটি জটিল কর্ম। ইসলামী শরিয়ত মতে শাসকের থেকে সুস্পষ্টভাবে, কাত'ঈ, ধর্মদ্রোহীতা প্রকাশ না পেলে তার প্রতি বিদ্রোহ প্রদর্শন অনুচিত। এ কদিন আগেও সংবিধানের আলাপে গিয়ে যারা শুধু এতোটুকু বলে এসেছে যে সংবিধানে শরীয়ত বিরোধী কোন আইন চলবে না, এই বুঝ ক্ষমতা দিয়ে তাদের আর যাই হোক, রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ না হওয়াই উচিত। যদি হয় তখন জামায়াত শরীয়তের কথা বলে না, জামায়াত গণতন্ত্র পুজারী এইসব বিভ্রান্তিকর আহমকি কথারই প্রচলন হবে বেশী। আরে মিঞাঁ! তোমরা ২০২৫ এ আইসা "সংবিধানে শরিয়ত বিরোধী কোন আইন পাস করা যাবে না" - এরকম ঠুনকো মামুলী দাবী কর। আর জামায়াতে ইসলাম একশ বছর আগে কোরআন সুন্নাহর আলোকে, শরীয়তের আলোকে, ইসলামের আলোকে পুরো সংবিধান প্রণয়ন করবার বন্দোবস্ত হাজির করেছিলো। সুতরাং, সাধু সাবধান!

Popular posts from this blog

জুলাই কাহা-নি

অত্রাঞ্চলে আমি-ই রাষ্ট্র্য, আমি-ই তার পতি

The Case for Rohingyas