Posts

Showing posts from August, 2024

আওয়ামী-লীগের শাস্তি

প্রশ্ন এটা নয় যে আওয়ামী-লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে কিনা? প্রশ্ন হলো তা নিষিদ্ধ করার পদ্ধতি ও সীমা নিয়ে। অর্থাৎ শুধু এই জনখেকো, দেশখেকো দলটি-ই নয় তার যে তথাকথিত রাজনৈতিক দর্শন কিংবা বিশ্বাস তা-কেও করতে হবে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের মুচলেকা দিতে হবে। পরিষ্কার করে বলতে হবে যে বাংলাদেশের মানুষের অগ্রগতি ভারতের গোলামী ও পদলেহনে-ই নিহিত কিনা? ক্ষমতা আরোহণের পূর্বে আওয়ামী লীগ যে সেটা পরিষ্কার করে বলেনি তা জাতীর সাথে বেঈমানি। যদিও এটাই তাদের একমাত্র বেঈমানি নয়। ইতিপূর্বে তারা মাথায় পট্টি বেঁধে, তসবীহ নিয়ে ক্ষমতায় এসে খোদাদ্রহীতায়, মুসলিম নিধনে লিপ্ত হয়েছিলো। কেন্দে কেটে জনগণের হাত-পা ধরে অর্থাৎ 'একটি বারের জন্য' ক্ষমতায় আসবার সুযোগ ভিক্ষা করে ক্ষমতায় এসে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে মাফিয়াতন্ত্র কয়েম করেছিলো। জাতীর সাথে আওয়ামীদের এই বেঈমানির, এই বিশ্বাসঘাতকতার মূলে রয়েছে ‌'৪৭। যে সময় হিন্দু নির্যাতন, বিশ্বাস ঘাতকতা, ও শোষনের তীক্ষ্ণ অভিজ্ঞতায় এই অঞ্চলের মানুষ পাকিস্তান নামক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত হতে জীবন পণ করেছিলো। এতোটাই যে সিলেটের যে তিন...

ইসলামী পরিচয় পুনোরুদ্ধারের পথপরিক্রমা

ইসলামী জাতীয়তাবাদ বনাম মুসলিম জাতীয়তাবাদ পাকিস্তান আন্দোলনের একটি অন্যতম বুদ্ধিবৃত্তিক অর্জন হলো ইসলামী জাতীয়তাবাদ ও মুসলিম জাতীয়তাবাদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়। মুলত: এখানেই মাওলানা মওদুদী রহ: এঁর সাথে মুসলিম লীগের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধের সূত্রপাত। এই বিরোধ পাকিস্তান আন্দোলনের দ্বিতীয় স্তর। প্রথম স্তরের বিরোধ ছিলো পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতার প্রশ্নে দেওবন্দী ঘরানার আলিম হোসাইন আহমেদ মাদানীর সহিত। অর্থাৎ আওলাদে রাসুল বলে দাবিকৃত ঐ আলিমের মতে ভৌগলিক সীমান্তের হিসেবে উপমহাদেশের সমস্ত ধর্মের মানুষ এক জাতি। এ কারনে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অগ্রহণযোগ্য! গান্ধীর কংগ্রেসের নেতৃত্বে মুসলমানদের সহিত হিন্দুদের বিশ্বাসঘাতকতার ব্যাপার-টি যতোই স্পষ্ট হতে থাকলো পাকিস্তান আন্দোলন ততোই দানা বেঁধে উঠতে লাগলো। অর্থাৎ প্রথম স্তরে মাওলানা মওদুদী রহ: সুস্পষ্ট ভাবে ধর্মের ভিত্তিতে দ্বি-জাতি তত্ত্বের যে ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজনীতির মাঠে তার সত্যতা প্রমাণিত হলো। হিন্দুদের বিশ্বাসঘাতকতার এই বিষয়টির অবতারণা না করা হলে উপনিবেশোত্তর রাজনৈতিক পথপরিক্রমার বোধগম্য উপস্থাপন অসম্ভব। এক্ষেত্...

মেধার সাতকাহন

কোটা আন্দোলনের শুরু থেকে আমার যে সংশয় ছিলো তা হলো তাতে একদিকে মেধাতন্ত্রের প্রতি একটা স্পষ্ট স্বীকৃতি যেমন ছিলো, তেমনি দেশের বর্তমান দুরবস্থার জন্য এর অভাবকে দায়ী করবার একটা প্রচ্ছন্ন প্রবণতা ছিলো। তথাকথিত মেধাতন্ত্রে আমি যে নাস্তি তা আগেও বলেছি কয়েকবার। তবে সে-ই প্রসঙ্গ এড়িয়েও বলা যায় যে আওয়ামী জালিমশাহী শাসনকে রাষ্ট্র্যযন্ত্রের শীর্ষস্থানে থাকা যেসব ব্যক্তিরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে, আনুকুল্য দিয়ে এর দীর্ঘায়নে দোসর হয়েছে তাদের কেউ-ই "জিপিও পাইপ" কিংবা তার পরবর্তী অটোপাস প্রজন্মের নয়। বরং তারা বিলাতী উপনিবেশকদের রেখে যাওয়া তথাকথিত মেট্রিকুলেশন সিস্টেমে এসএসসি কিংবা এইচএসসি-তে স্ট্যান্ড করা, স্টার কিংবা ডিভিশন পাওয়া প্রজন্ম। ঐ যে, যে সময় পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্টের পর গুটি কয়েক "শীর্ষস্থান" লাভ করা পরীক্ষার্থীদের চান মুখ বিক্রী করে পত্রিকাগুলো ফাও লুটতো। জালিমশাহীর সহযোগী এই সব লোকেরা কিন্তু আওয়ামী আমলে রাষ্ট্র্যযন্ত্রে প্রবেশ করে নাই। তারা পূর্বের আমলেই বিসিএস কিংবা আইএসএসবি প্রভৃতি পরীক্ষায় "উত্তীর্ণ” হয়েই এই চাকরের জীবনে প্রবেশ করেছে। উপরন্তু ...