নিরপেক্ষতা

বেগম খালেদা জিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে তাঁর বিরোধীরা নানা ধরনের কথা বলে থাকেন। আমার নিজের কাছে বিষয়টা যেভাবে ব্যাখ্যা করেছি তা এই যে ধরে নেই তাঁর কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তিনি একজন অক্ষরজ্ঞানশূন্য মানুষ। কিন্তু তাই বলে তিনি অশিক্ষিত নন। কিংবা বাংলাদেশের উচ্চডিগ্রীধারীদের একটা বড় অংশের মতো কুশিক্ষিত-ও নন। এটা তাঁর কাজে-কর্মে-বচনে প্রকাশ পেয়েছে বারংবার।

কারন দেশে নির্বাচনকালীন ঐতিহাসিক সমস্যা সমাধানের প্রেক্ষাপটে প্রায় সবাই যখন "রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা" - কেন্দ্রিক সমাধান খুঁজতে ব্যস্ত তখন উনি বলেছিলেন যে শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই যে এটা উনি খুব গভীর চিন্তা করে বলেননি, তথাপি বলেছেন, দেশের বৃহত্তর অংশের মতের বিপরীতে গিয়ে বলতে পেরেছেন, তার জন্য তিনি প্রশংসা প্রাপ্য।

প্রশংসা প্রাপ্য এই কারনে যে "নিরপেক্ষতা" যে একটি আষাঢ়ে, অবাস্তব চিন্তা তা সময়ের পরিক্রমায় সাধারনের নিকট সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। কিন্তু ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের গুণকীর্তণ অত্র প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য সত্যানুসন্ধান। বুদ্ধিবৃত্তিক কৌতুহল নিবারণ।

দেশের "বুদ্ধিজীবি" মহলের এই "নিরপেক্ষতা" চর্চা জাতীয় বুদ্ধিবৃত্তিক দৈনতা ও বৈকল্যের একটা ভালো উদাহরণ। কারন নিজেরা চিন্তা-ভাবনা করে এটা "আবিষ্কার" করার মতো যোগ্যতা এদের নেই। উপনিবেশোত্তর কালে মানসিক দাসবৃত্তিতে জরাগ্রস্থদের নিকট থেকে তা আশা করাটাও আত্মপ্রতারণা। এটা পাশ্চাত্যীয় সেকুলারিজমের একটা ভুল পাঠ।

ভুল এ কারনে যে সেকুলারিজমকে গ্রহণ করা হয়েছে নিরপেক্ষতার বয়ানে। অথচ সেকুলারিজমের উৎস ও বিবর্তন ধর্মদ্রোহী আন্দোলনে। খ্রীস্টীয় যাজক-পুরোহিতদের ধর্মীয় ও নৈতিক স্খলনের ফলস্বরুপ সামাজিক শোষণ ও রাষ্ট্রীয় পীড়নের যে শিকার হয়েছিলো সর্ব-সাধারণ তার প্রতিক্রিয়া এই সেকুলারিজম।

তার মানে দেখা যাচ্ছে যেহেতু ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণীটি রাষ্ট্র-সমাজের অধ:পতনে মূল ক্রীড়ানক হিসেবে কাজ করেছে তাই রাষ্ট্র ও সমাজের মূল ধারা থেকে তার বিতাড়নের মধ্যেই ইউরোপীয়রা তাদের সমস্যার সমাধান দেখতে পেয়েছিলেন।

আরও এই যে যেহেতু স্খলনপ্রাপ্ত যাজক শ্রেনী স্বীয় স্বার্থোদ্ধারে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছিলো তাই রাষ্ট্রযন্ত্রকে এই শ্রেনীটি থেকে পৃথক করা অর্থাৎ রাষ্ট্রযন্ত্রের সেকুলার বা ধর্মহীন হয়ে ওঠার মধ্যেই সমাধান খোঁজা হয়েছিলো।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে দেশের "উচ্চশিক্ষিত" অংশটি সেকুলারিজমের শুধু বিকৃত পাঠই করেনি বরং সেকুলারিজমের বুৎপত্তিগত মর্মার্থের বিপরীতে এর অসারতা উপলব্ধি করতেও ব্যর্থ হয়েছে।

কেননা রাষ্ট্র্য একটি ধারণাগত স্বস্তা। মানবসমষ্টির সম্মিলিত কর্মপ্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র্য প্রাণ লাভ করে। তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে সকল মানুষ "ব্যক্তিগত" পর্যায়ে ধর্মানুসারী হলে তাদের দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্র্য কি করে ধর্মহীন হতে পারে?

এটা সুস্পষ্ট হয় পাশ্চাত্যের স্ববিরোধী রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপে। এই কদিন আগেও আমরা খ্রীস্টান ধর্মীয় রীতিতে বিলাতের রাজার অভিষেক দেখলাম। দেশের "উচ্চশিক্ষিত" যে অংশটি দেশে ইসলামের প্রভাব বৃদ্ধিতে বারবার মূর্ছা যায় সে অংশটিও তাতে দোষ দেখেনি। আর দেখলেই বা কি? বিলাত তাদের পোছে? কে পোছে? যুক্তরাষ্ট্রের মতো তথাকথিত মুক্ত দেশে এখনো পর্যন্ত জুমার নামাজ প্রকাশ্যে পড়তে অনুমতি নিতে হয়। বহু বড়ো বড়ো শহরে বিশাল সংখ্যক মুসলমানদের জন্য পর্যাপ্ত মসজিদ নেই। অথছ নাচা-গানা-বদমায়েশীর পর্যাপ্ত সুবিধা বিদ্ধমান। সর্বত্র গীর্জার ছড়াছড়ি। মুসলমান হিসেবে খ্রীস্টান দেশে এই গীর্জার ছড়াছড়িতে আমার কোন আপত্তি নাই, আপত্তি সেকুলারিজমের ঠুনকো-অসৎ বয়ানে।

সেকুলারিজম থেকে নিরপেক্ষতার এই বিকৃত পাঠ এটাও প্রমাণ করে যে "ইসলামের তলোয়ার" কিংবা "ইসলামের মুজাহিদ" নামধারী এই সকল ভাঁড়েরা তাদের নিজেদের ধর্মীয় ইতিহাস সম্পর্কেও অজ্ঞ। যারা নিজেদের সংস্কার করেনি তারা এখন দেশের সংস্কারে ধূতি পরে নেমে পড়েছে এটাই শংকার বিষয়।

যদি তারা নিজেদের পূর্বপুরুষদের ইতিহাস জানতেন, তাহলে এটা বুঝতে বেগ পেতে হতো না যে অমুসলিমদের সমস্যার মূলে যদি তাদের ধর্মশিক্ষা থেকে থাকে তাহলে মুসলিমদের সমস্যার মূলে রয়েছে অধর্মের শিক্ষা কিংবা ইসলামী শিক্ষার অপ্রতুলতা।

কারণ আমাদের "পোপেরা" কখনই অমুসলিম বধ করবার ডাক দেন নাই। বরং ধর্মীয় বয়ানের ভুল তর্জমা করে স্পেনের খলিফা যখন ফরমান জারী করলেন যে স্পেনে থাকতে হলে সকলকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে হবে তখন দেশের সর্বোচ্চ মুফতি-আলিম খলিফার সাথে দেখা করে এর বিরোধিতা করেছিলেন। খলিফার নির্দোষ বিস্ময়ে উনি তাকে বুঝিয়ে বলেছিলেন যে তাঁর খুৎবায় তিনি যখন বলেছিলেন রাজ্য জয়ের চাইতে একজন অমুসলিমকে ইসলামের পথ দেখানো যে অধিক পূন্যের কাজ তার অর্থ জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তকরণ নয়। বরং ইসলামের দাওয়াত প্রদানের মাধ্যমে অমুসলিমদের নিকট ইসলামের সত্যতা ও সৌন্দর্য এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করা যেনো তারা স্বেচ্ছায়-স্বতস্ফূর্তভাবে ইসলাম গ্রহণে ব্রত হয়।

আমাদের "পোপেরা" রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের সহযোগী হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি কখনোই। বরং রাষ্ট্র কর্তৃক নিপীড়নের স্বীকার হয়েছেন বারংবার। তথাপি সত্য-ন্যয় পরিগ্রহে তাঁরা ছিলেন অনঢ়।

ইসলামের শিক্ষা থাকলে তারা এটাও বুঝতেন পাশ্চাত্য তাদের সমস্যার যে সমাধান খুঁজতে প্রচেষ্ট হয়েছে সেকুলারিজমে ইসলাম সেই একই সমস্যার সমাধান সহস্র বছর আগে করেছে ধর্মীয় শিক্ষার কাঠামোয়। এ কারনেই আমরা দেখতে পাই হযরত আলী রা: রাষ্ট্র্যের সর্বময় কর্তা হওয়া স্বত্তেও তাঁর দাবীর পক্ষে আদালতের দৃষ্টিতে সন্তোষজনক প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হওয়ায় কাজী মহোদয় খলিফার বিপরীতে রায় দিতে কুন্ঠিত হন নি।

অত্র প্রবন্ধের মূল প্রতিপাদ্য এটাই। কোন মানুষই নিরপেক্ষ নয়। হওয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেকেই কমসে কম আত্মপক্ষ সমর্থন করে। করে বলেই আমরা দেখতে পাই সরকারি যে চাকুরেটি সময়-সুযোগ বুঝে হর্তা-কর্তা বনে গিয়ে হাঁকডাক দেয়া শুরু করে সময়ের বিবর্তনে সেটাই বিলাই বনে যায়। প্রত্যেক অর্থবের কথা একটাই - সে নির্দোষ, দোষ অন্যের।

ইসলাম নিরপেক্ষতা শেখায় না। ইসলাম শেখায় সত্যের এবং হকের পক্ষাবলম্বন করতে। এমনকি তা যদি নিজের বিরুদ্ধেও যায়। ইসলাম শেখায় যে কোন মুসলমান যদি স্বার্থ রক্ষায় এমনকি কোন অমুসলিমের প্রতিও কোন না-হক কাজ করে বসে তবে আর কিছু হোক না হোক রোজ হাশরে মহান আল্লাহর নিকট তাকে জবাবদিহি করতে হবে। এবং এর জন্য শাস্তি পেতে হবে।

এই বিষয়টা গুরুত্বপূ্র্ণ। কারন সমাজ ও রাষ্ট্রের শুদ্ধি শুরু হয় ব্যক্তি পর্যায়ে। যে সমাজে ব্যক্তি আত্ম-সংযমহীন, সুবিধাবাদী, কপট, অপদার্থ - সেই সমাজের, সেই রাষ্ট্র্যের যতো সংস্কারই করা হোক না কেন, যতো আইন, যতো সংবিধানই লেখা হোক না কেন, যতো কাঠামোগত ও প্রক্রিয়াগত পরিবর্তনই সাধন করা হোক না কেন তা কোন সুফল বয়ে আনে না। আনতে পারেনা।

মানুষের সমস্যা মানুষকেই সমাধান করতে হয়। আইন-সংবিধান-সংগঠন-কর্ম প্রক্রিয়া এগুলো সহায়ক মাত্র। এ কারনেই আমরা দেখেছি পুঁথিগত ভোটার তালিকায় অশুদ্ধতার ধুয়ো তুলে তার সংশোধনের জন্য তথাকথিত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরও এখন বলা হচ্ছে যে এই ইলেক্ট্রনিক তথ্যভান্ডারও অশুদ্ধ তথ্যের দোষে শুধু দুষ্টই নয় বরং পীষ্ঠও বটে। তাহলে মিলিটারী ছায়া সরকারের আশকারায় সাখাওয়াত-হুদা কমিশন জাতিকে "ফিঙ্গার দেয়া" শেখাতে রাষ্ট্রের যে এতো সম্পদ ব্যয় করলো এর বিচার কবে হবে? কে করবে?

এই চিন্তাগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো। পূর্বোল্লিখিত "কোশেম সুলতান" সিরিজে সুলতানের নির্দেশে যুলফিকার যে প্রক্রিয়ায় ইসকান্দারকে বধ করলেন তার বৈধতা ও নৈতিকতা নিয়ে ভাবতে ভাবতে দেশীয় অবস্থার সাথে এর একটা যোগ সাজশ খুঁজে পেলাম।

যোগ সাজশ এখানে যে রাষ্ট্রকর্মে নিরপেক্ষতা বলে কিছু নেই। ইসলামের মতে হকপন্থা আছে অবশ্যই। তবে তা ও একটা পক্ষাবলম্বন। অর্থাৎ ব্যক্তি বিশেষে কার পক্ষাবলম্বন হক পন্থাবলম্বন সেই বিবেচনা। কারন দুই ব্যক্তি দুই ভিন্ন জনের পক্ষাবলম্বন করে প্রত্যেকেই স্ব স্ব বিবেচনায় হক কাজ করেছেন মনে করতে পারেন। কিন্তু দুইজনই হক পন্থী এমন কম সময়ই হয়। সেক্ষেত্রে দুজনের একজন দোষী বলে বিবেচিত হন। দন্ডপ্রাপ্ত হন।

কিন্তু বর্তমানে তথাকথি সরকার ব্যবস্থায় দল নিরপেক্ষতার এমন বয়ান তৈরী করা হয়েছে যে সুস্পষ্টভাবে দলীয় পক্ষাবলম্বন করেও নিরপেক্ষতার একটা ভান ধরে দায় এড়িয়ে যাওয়া যায়। আমার মতে এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। যারা শাসন ক্ষমতার সাথে জড়ি তাদের দায়বদ্ধতা ও পক্ষপাতীত্ব স্পষ্ট হওয়া উচিত। কমলও তুলবেন কিন্তু কাঁটায় বিদ্ধ হবেন না এটা চরম সুবিধাবাদীতা। রাষ্ট্রকর্মের মতো এমন দু:সাধ্য কাজে জড়িতরা এরকম সুবিধাবাদী অবস্থানে থাকলে রাষ্ট্র্যের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়ে। যা এখন আমরা প্রত্যক্ষ করছি।

সুতরাং বিএনপির সবচাইতে বড়ো সমস্যা তাদের মতাদর্শী, তাদের সুবিধাভোগী লোকদের এমন খেলো অবস্থান। বিএনপির সবচাইতে বড়ো সমস্যা তাদের রাজনৈতিক দৈণ্যতা। রাজনীতির এই জটিল ময়দানে বিএনপি একটা নেংটো খেলোয়াড়। তার কোন রাজনৈতিক দর্শন নেই। সংস্কৃতি নেই। আচার-অনুষ্ঠান নেই। ধর্ম ও জাতীয়বাদের লেজেগোবরে সে যা তৈরী করেছে তা সময়ের তাৎক্ষনিক প্রেক্ষাপটে। বিএনপির উচিত ছিলো সুসংহত, সুচিন্তিত রাজনৈতিক দর্শন, রাজ কল্প তৈরী করা। কিন্তু সে তা পারেনি। পারেনি বলেই সব সময়ই রাজকর্মে সে দ্বিধাগ্রস্ত। ক্ষণে ক্ষণে সে পিছলে পড়ছে।

এজন্যই শত দোষ, শত দুর্বলতা, শত অক্ষমতা স্বত্তেও জামাতের প্রতি আমাদের আশা পুঞ্জিভূত করতে হয়। কারন তাঁরা অত্যন্ত সঠিকভাবে ও ন্যায্যভাবে মুসলিম প্রধান এই দেশে তাঁদের রাজনৈতিক দর্শন নির্মাণ করেছেন ইসলমের ভিত্তিতে। কিন্তু আমাদের শংকা এটাই যে রাজ কর্ম সম্পাদনের দুরুহ কাজটির ব্যাপারে তাঁদের মধ্যে একধরনের মতবাদী (ideologic) ও ইউটপিক (utopic) ধ্যান-ধারণা কাজ করে।

তাদের বয়ানে একথা সুস্পষ্ট নয় যে জগতের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি সমাধানের ব্যাপারে মানবজাতি অক্ষম। সেই অক্ষমতা ঢাকবার জন্য ইসলামে যদিও অনেক গুলো পন্থা বিদ্যমান, যেমন তরুণদের মধ্যে ফুতুও্যয়া (فتوة) চর্চার প্রসার ঘটানো, কিন্তু তা কেবল ধামাচাপা দেবারই জন্য। নিরাময়ের জন্য নয়। এখানেই ইসলামের আরেকটি সত্যতা যে ইসলাম স্বীকৃতি দিচ্ছে যে এই জগত এই সব সমস্যার সমাধানের জন্য নয়। এটাই জগতের পরীক্ষা। সেই বোধটুকু, সেই উপলব্ধি-টুকু আছে ক'জনার?

অনেক কঠিন কথা বলে ফেললাম। তাই বলে আমাদের হাসতে মানা নেই। আমার রামগরুড়ের ছানা নাই।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে সরকার পক্ষের পাল্টা নিষেধাজ্ঞার হুমকির খবরে আমাদের লক্ষীপুরের একটা কৌতুক মনে পড়লো।

এক শিক্ষক ছাত্রকে পড়াশোনায় মনোযোগী করবার জন্য, পড়া তৈরী করে আসবার জন্য শাসন করছেন। হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। হাতের মুষ্ঠি পাকিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন পড়া না পারলে কিল-ঘুষি একটাও মাটিতে পড়বে না। ছাত্রও কম যায় না। সে বললো - "আন্নের আত আসে তো আঁর ঠ্যাঙ্গ নাই?"। শিক্ষকতো রেগেই টং। "তোর ঠ্যাঙ্গ আসে মানে? কি করবি তুই ঠ্যাঙ্গ দিয়ে?"। ছাত্রের অসহায় উত্তর, "ক্যান? দৌড় দিম্!"।

Popular posts from this blog

আসেন, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গ্যাজাই

ইসলাম ও গণতন্ত্র

জামাতের ভোট: একবারে না পারিলে দাও শতবার