ভাতৃসংঘ থেকে আল-শারা: কিভাবে?
বিপ্লবোত্তর সিরিয়ার রাজনৈতিক ময়দানে মুসলিম ভাতৃসংঘের মতো পুরনো, ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের প্রচ্ছন্ন উপস্থিতির বিষয়টা অনেক দিন ধরেই ভাবাচ্ছিলো। ভাতৃসংঘ বর্তমান ক্রান্তিকালীন বিপ্লবী সরকারেরও অংশ এবং একথা চালু আছে যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারা সিরিয়ার ভাতৃসংঘের বৃহত্তর অংশের সমর্থন আদায়ে ব্যাপক ভাবে সচেষ্ট। প্রশ্ন হলো ভাতৃসংঘের মতো এতো বড়ো দল কি করে ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে ছিটকে পড়লো। অবশ্য এই প্রশ্নের যথার্থতা নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলতে পারেন যারা আহমাদ আল-শারাকে ভাতৃসংঘের বৃহত্তর প্রভাব বলয়ের ফসল হিসেবেই গণ্য করতে চান। কিন্তু এই সব প্রায়োগিক খুঁটিনাটি এড়িয়ে গিয়ে মোটা দাগে এই প্রশ্ন তো করাই যায় যে আহমাদ আল-শারার নেতৃত্বে এই বিজয় ভাতৃসংঘের দাওয়াত ও তরবিয়্যাতের রাজনৈতিক প্রকল্প থেকে বেরিয়ে গিয়ে সশস্ত্র সংগ্রাম-কে প্রাধান্য দেয়ার মরহুম আইমান আল-জাওয়াহিরির প্রস্তাবনাকেই প্রতিষ্ঠিত করে। এর বিপরীতে এই পাল্টা যুুক্তিও দেয়া যায় যে আহমাদ আল-শারার সফলতার বীজ বাপিত হয়েছিলো যেদিন তিনি আল-কায়েদার সাথে সমস্ত রকমের সাংগঠনিক সম্পর্কের ইতি টেনেছিলেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে সংগ্রামের পথ কখনো এক রৈখিক নয়। বরং...